রবিউল হাসান রাজিব ফরিদপুর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্প কর্তৃক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার মধুখালী হতে বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সীমকার্ডসহ বিকাশ প্রতারক চক্রের ০৬ (ছয়) সদস্য আটক।র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক এবং স্কোয়াড অধিনায়ক এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭ অক্টোবর গভীর রাতে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন ডুমাইন গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য ০১। মোঃ তরিকুল ইসলাম (২৭), পিতা-মৃত আলাল খান, ০২। মোঃ ফরহাদ (৩৩), পিতা-আবু তালেব মল্লিক, ০৩। মোঃ সোহাগ মল্লিক (২৫), পিতা-মোঃ শুকুর আলী মল্লিক, ০৪। তাপস মন্ডল (২৮),পিতা-মৃত তরুন মন্ডল, ০৫। তপন মন্ডল (২৩) ও ০৬।গোবিন্দ মন্ডল (২২), উভয় পিতা- জনেক মন্ডল, সর্ব সাং-ডুমাইন পূর্বপাড়া, থানা-মধুখালী, জেলা-ফরিদপুরদেরকে আটক করেন।এ সময় আটককৃত আসামীদের হেফাজত হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ১১ (এগার) টি সীমকার্ডসহ ০৮ (আট) টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায় তারা বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।ঘটনার বিবরনে আরো জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দুর্নীতি পরায়ণ মোবাইল সীম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস করে ভূয়া নামে সীমকার্ড রেজিস্ট্রেশন করতঃ রেজিস্ট্রেশনকৃত সীমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগনের নিকট নিজেকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয় এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ এ্যাপস্ ব্যবহার করে উক্ত সাধারণ লোকজনের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হতে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান আছে।