শিরোমনি ডেস্ক রিপোর্ট: খুলনার ফুলতলা উপজেলার সিকিরহাট এলাকায় ভৈরব নদে ফেরি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সিকিরহাটে ঘাট নির্মাণ ও ফেরি চালু হলে খুলনা থেকে নড়াইলের কালনা সেতু হয়ে সহজে যাওয়া যাবে ঢাকায়। বর্তমানে খুলনা থেকে কাটাখালি ও গোপালগঞ্জ দিয়ে ঢাকার যে দূরত্ব এই রুটে গেলে সেই তুলনায় দূরত্ব কমবে প্রায় ৩০ কিলোমিটার। এর ফলে সাশ্রয় হবে সময় ও অর্থ।সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানা গেছে, ফুলতলা-নড়াইল জেলা মহাসড়কের মান উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় গত জুন মাসে। এই প্রকল্পে ব্যয় হয় ১৭৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় যে ২৮ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নড়াইলের ২৬ কিলোমিটার ও ফুলতলার ২ কিলোমিটার সড়ক। ফুলতলা অংশের ২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করতে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি টাকা।প্রকল্পের মেয়াদ ও কাজ শেষ হওয়ার পর ফুলতলার সিকিরহাট এলাকায় ফেরিঘাট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। শুধু ঘাট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। সংস্কার খাত থেকে এই অর্থ বরাদ্দ করা হবে। প্রধান কার্যালয়ে একটি ফেরি এবং ২টি পন্টুন বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। যা শিগগিরই বরাদ্দ পাওয়া যাবে।খুলনা থেকে কাটাখালি-গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ২২৩ কিলোমিটার। আর খুলনা থেকে ফুলতলার সিকিরহাট ঘাট হয়ে নড়াইলের কালনা সেতু দিয়ে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ১৯৬ কিলোমিটার। ফলে সিকিরহাটে ফেরি চালু হলে খুলনা থেকে কাটাখালি-গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকা যেতে যে দূরত্ব ও সময় লাগে তার চেয়ে ২৭ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব ও আধাঘণ্টা সময় কমবে।সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, ফুলতলা-নড়াইল জেলা মহাসড়ক ১২ ফুট ছিল, তা প্রশস্ত করে ১৮ ফুট করা হয়েছে। নিজ নিজ জেলার অংশের কাজ সংশ্লিষ্ট জেলার সওজ বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে। ফুলতলার সিকিরহাটে একটি বাজার ও ঘাট রয়েছে। সম্প্রতি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সিকিরহাটে ফেরি চালুর বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। সিকিরহাট বাজারে কিছু স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো অপসারণ করা হলে অচিরেই ফেরিঘাটটি স্থাপন করা যাবে।