সুমন হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধি
বিভিন্ন দিক থেকে বরাবরই যশোর প্রথম। সেই গৌরবের ইতিহাসের ঝুলিতে এবার যুক্ত হয়েছে আরও একটি প্রাপ্তি। এ প্রাপ্তি এসেছে যশোরের মেয়ে সাবহানাজ রশীদ দিয়ার হাত ধরে। বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। যশোরের মেয়ে দিয়া এখন ফেসবুকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
দিয়া যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের লাউখালি গ্রামের মেয়ে। তার পিতা জনপ্রিয় কার্ডিওলজিস্ট, সমাজসেবক ও ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিইও অধ্যাপক ডাক্তার এম এ রশীদ।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ফেসবুকের বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স অফিসার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। গত সাত সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে ফেসবুকের আঞ্চলিক সদর দপ্তরের সাথে এক অনলাইন বৈঠকে যোগদেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। ভার্চ্যুয়াল সে অনুষ্ঠানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দিয়াকে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
দিয়া একজন টেকলোনজি পলিসি এবং গে¬াবাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট। পলিসি রিসার্চ, ডিজাইন এবং ইমপি¬মেন্টেশনে ১৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি কাজ করেছেন দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আমেরিকায়। টুইটার এবং গুগলে কাজ করার বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বাংলাদেশে ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা দিয়া। অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি।
দিয়া বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন। আইইউবি থেকে অর্থনীতি, যোগাযোগ এবং চলচ্চিত্র বিষয়ে স্নাতক পাশ করেন তিনি। এরপর স্কলারশিপ নিয়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেখানে ডাটা সায়েন্স এবং প্রযুক্তি বিজ্ঞানে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সিঙ্গাপুরের অফিস থেকেই বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। কনটেন্ট বিষয়ক যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান করা তার কাজ। বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স দেখাশোনার জন্যে এ প্রথম কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।