মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামে মোবাইল গেমস ফ্রি-ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে রাজু (১৪)নামের এক কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ই অক্টোবর বিকেলে স্থানীয় মুসলিম উদ্দিনের ছেলে রাজুকে ডেকে নিয়ে যায় পাশের বাড়ির আরজ আলী কুরাইশের ছেলে আলিফ কুরাইশ (১৭)। জানা যায় আলিফ কুরাইশ এলাকায় ফ্রি ফায়ার গেমস খেলার লিডার ও কিশোর গ্যাং লিডার এবং নেশার সাথে জড়িত। এলাকার বিভিন্ন ছেলে পেলের ফ্রি ফায়ার আইডি হ্যাক করে ডাইমন্ড ও কইন নিজের এ্যাকাউন্ট এ ট্রান্সফার করে নিয়ে নিতো। রাজু ও আলিফ কুরাইশ এর সাথে ডায়মন্ড চুরি নিয়ে জগড়া হয় একপর্যায়ের রাজু, আলিফ কুরাইশকে বলে তুই যেসব আইডি থেকে ডাইমন্ড চুরি করেছিস আমি ওদের বলে দিবো। এই কথার জেরে গত ১৪ই অক্টোবর বিকেলে আলিফ কুরাইশি রাজুকে বলে চল পাতিলযাপ কিছু টাকা পাই নিয়া আসি। এই বলে রাজু কে সাথে নিয়ে আলিফ কুরাইশ পাতিলযাপ যায়।পাতিলযাপ নদীর পাশে কাশবনের ভিতর নিয়ে প্রথমেই মাথাই ইট দিয়ে আঘাত করে, এর পর মুখের ভিতর কাপড় পুরে মুখ বেধে ফেলে, মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে থেতলে দেয় ও রাজুর হাতে থাকা মোবাইল ফোনের উপরের কাচ ভেঙ্গে চোখে আঘাত করে চোখ নষ্ট করে ফেলে চলে যায়। আনুমানিক রাত সাতটার দিকে কাশবনের পাশ দিয়ে নদী থেকে কাজ সেরে আসছিলো দুইজন লোক, তারা হঠাৎ ঘুংরানোর আওয়াজ শুনে ঝুপের দিকে এগিয়ে গেলে সেখানে আহত রাজুকে দেখতে পান,তারা রাজুর বাড়িতে খবর দেন ও সাভার এর এনাম হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ই অক্টোবর রাজু হাসপাতালে মৃত্যু বরন করে। মৃত্যুর খবর শুনে স্থানীয় লোকজন আলিফদের বাড়ি ঘেরাও করে, তখন আলিফ কুরাইশের বোনের জামাতা ( দুলা ভাই) উপস্থিত ছিলো,তিনি সরকারি চাকরি করে বলে তার অনেক দাপট, তিনি লোকজনের উপস্থিতি দেখে তার কাছে থাকা বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লোকজনকে ভয় দেখান। আগ্নেয়াস্ত্র দেখে এলাকাবাসী আরো খেফে যায় তখন পুলিশ এসে ঘাতক আলিফ ও আলিফ এর বোন জামাতাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়। সিংগাইর উপজেলার পুলিশ কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতাকর্মী উৎসুক এলাকাবাসীকে আস্বাস দেন এই হত্যা এবং জঘন্য অপকাজের সঠিক বিচার করা হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী এই জঘন্যতম হত্যার সঠিক বিচার করা হক এবং বাংলাদেশ থেকে যেনো ফ্রি ফায়ার গেম খেলা বন্ধ করে দেয়া হয়। আর যেনো কারো মায়ের বুক এভাবে খালি না হয় ফ্রি ফায়ার নামক গেম খেলার কারনে।