সুন্দরবন উপকূলের দুবলার চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা বঙ্গবন্ধু চর পর্যটকদের কাছে এক নতুন আকর্ষণ। চলতি মৌসুমে সুন্দরবন ট্যুর অপারেটরদের অনেকেই পর্যটকদের আগ্রহের কারণে এই দ্বীপ ঘিরে তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজিয়েছেন।সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট ও দুবলার চরের মাঝখানে এই চর অবস্থিত। প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বঙ্গবন্ধু চর যেন সমুদ্রের বুকে নতুন এক টুকরো বাংলাদেশ।খুলনায় ৬৩টি ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং ছোট-বড় মিলে ৫২টি ট্যুরিস্ট বোট রয়েছে। যেগুলোর ধারণক্ষমতা ১০ থেকে ৭০ জন। সর্বোচ্চ ৭০ জন ধারণক্ষমতার জাহাজ রয়েছে ছয়টি। এ ছাড়া মোংলা থেকে বেশ কিছু ছোট বোট মৌসুমে সুন্দরবনে পর্যটক বহন করে।পর্যটন মৌসুমে সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য আটটি পর্যটন এলাকায় পর্যটক অবস্থান করে। এতে যোগ হতে চলেছে ‘বঙ্গবন্ধু চর’।খুলনার ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘সীমানা পেরিয়ে’ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মুরাদ আহমেদ মিঠুন জানান, এ বছর মৌসুমের শুরুতে তিনি ঢাকার ভ্যাসেল ফাইন্ডার্স গ্রুপের একদল তরুণের অনুরোধে বঙ্গবন্ধু চরে গিয়েছিলেন। চরে দেখা যায়, লাল কাকড়া আর নানা প্রজাতির পাখি। জন্ম নিয়েছে নানা প্রজাতির গাছ আর লতাগুল্ম, তার মাঝে ফুটেছে ফুল।তিনি বলেন, ‘এর নাম বঙ্গবন্ধু চর হওয়ায় এর প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। চরকে যদি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় তাহলে সুন্দরবনের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়াবে।’ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি এ বছর বঙ্গবন্ধু চর ও মান্দারবাড়িয়া অভয়ারণ্য যেতে অনেক পর্যটক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মুজিব শতবর্ষকে সামনে রেখে অনেক মানুষই জেগে ওঠা বঙ্গবন্ধু চর দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও সেখানে কোনো অবকাঠামো না থাকায় এবং বনবিভাগের অনুমতি না থাকায় আমরা সে,ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সভাপতি মঈনুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, ‘অনেক পর্যটক বহুবার সুন্দরবন ভ্রমণ করলেও শুধু বঙ্গবন্ধু চর দেখার জন্য আবার সুন্দরবন যেতে চান।...সুন্দরবনে পর্যটকদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামো সুবিধা বাড়লে দেশি-বিদেশি পর্যটক আরও বাড়বে।’বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা বঙ্গবন্ধুর চর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। গত ১৪ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান বঙ্গবন্ধু চর পরিদর্শন করার পর সেখানে একটি টহল ফাঁড়ি করার নির্দেশ দেন।বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জেগে ওঠা চরটিতে বিভিন্ন ধরনের গাছ জন্ম নিচ্ছে। এ ছাড়া সেখানে বিভিন্ন বন্য পশুপাখিও দেখা গেছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]