এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি বলেছেন, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। বাংলাদেশের রাষ্ট্র নায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৩ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের কঠিন সময়ে একটি শিতি জাতির স্বপ্নের কারিগর হিসাবে তিনি একসঙ্গে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করেন। তিনি জানতেন, শিক্ষা খাতে অর্থ ব্যয় একটি দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে উপযুক্ত বিনিয়োগ। বাংলার এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করে জনশক্তিতে পরিণত করতে তিনি ছিলেন বদ্ধ পরিকর। তার মৃত্যুর পর অনেক দিন বাংলাদেশে শিক্ষার উল্লেখযোগ্য পৃষ্ঠপোষকতা চোখে পড়েনি। ২১ বছর পর তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শিক্ষর মান উন্নয়নে দৃষ্টিপাত করেন। মূলত তখন থেকে বাংলাদেশের বিদ্যালয়ের হতদরিদ্র চেহারা, ভগ্নদশা কাটিয়ে উঠতে শুরু করে। ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা আবার একসঙ্গে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন।
আলহাজ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মেটংঘর ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘আমাদের শিক্ষা সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী ফররুখ আহাম্মদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন ভুঞা জনী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম। প্রবন্ধ পাঠ করেন, শিক্ষার্থী ফারহানা হোসেন উপমা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, শিক্ষার চিত্র পর্যবেণ করলে আমরা দেখতে পাই, শিক্ষার বিভিন্ন খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ রয়েছে। যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ করে বই উৎসব পালন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ই-মনিটরিং পরিদর্শন ব্যবস্থা উদ্ভাবনী বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা হয়। মা সমাবেশ, হোম ভিজিট করে উপস্থিতি বৃদ্ধি, মানসম্মত পাঠদানের জন্য শিকদের বিভিন্ন প্রশিণের ব্যবস্থাসহ বহুমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ সরকার শিক্ষার উন্নয়নের রূপকার হিসেবে প্রমাণ দিয়েছে।
ঢাকা টিএন্ডটি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ গোলাম কিবরিয়া সরকার, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা, ঢাকা মহানগর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ সিদ্দিকী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার অতীশ সরকার, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তমাল, চাদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (চক্ষু) ডা: আরিফুল ইসলাম, কোড়েরপাড় আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম সরকার, নারায়নগঞ্জের মুরতুজাবাদ ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বোরহান উদ্দিন, আকুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল শিমুল, পূর্বধইর (পূর্ব) ইউপি চেয়ারম্যান শুকলাল দেবনাথ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ মোল্লা, আব্দুল হাকিম সওদাগর ও ঢাকা জজ কোর্টের এডভোকেট এমরান হোসেন প্রমুখ।