মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মানুষের একসময় পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিনোদনের মাধ্যম ছিল সিনেমা। ঈদ, পূজা পার্বণসহ যে কোনো উৎসব এলেই ব্যাপক ভিড় হতো সিনেমা হলগুলোতে। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শকরা ভ্যানগাড়ি, গরু গাড়ি, রিকশা বা হেঁটে দলবেঁধে পরিবারের সবাই মিলে সিনেমা দেখতে আসত।
একসময় সারাদেশে ১ হাজার ৪৩৫টির মতো সিনেমা হল গড়ে উঠেছিল, গোপালপুরেও দুইটি সিনেমা হল গড়ে উঠেছিল, কোনাবাড়ি বাজারে কাকলী সিনেমা হল ও নন্দনপুরে মানসী সিনেমা হল,বর্তমানে সারাদেশে সিনেমা হলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০/৮০টিতে, দর্শক খড়ায় বছরের পর বছর ধরে বন্ধ আছে গোপালপুরের দুইটি সিনেমা হল।বর্তমান সময়ে হাওয়া ও পরান সিনেমা দশর্কনন্দিত হবার পর থেকেই প্রাণের সঞ্চার জেগেছে সিনেমা শিল্পের, দেশের অনেক হল সংস্কার করার পাশাপাশি, সিনেমা হলকে সিনেপ্লেক্সে রুপান্তরিত করার উদ্যোগ নিয়েছে হল মালিকরা।সিনেমা হল বিমুখ হওয়া দর্শক হাছেন আলী জানান, একসময় সিনেমায় প্রানবন্ত গল্প থাকতো ও গান থাকতো, যার আকর্ষণ আমাদের হলে টানতো ।একটা সময় গল্পের পরিবর্তে আসতে থাকে অশ্লীল সিনেমা, নেই তারকা অভিনয় শিল্পী, মোবাইলে সহজলভ্য সিনেমা, সব মিলিয়ে এখন আর দলবেঁধে সিনেমা দেখতে যাওয়া হয় না।দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভঙ্গুর দশায় পড়ে আছে গোপালপুরের মানসী সিনেমা হল ও কাকলী সিনেমা হল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাকলী সিনেমা হলের মালিক রওশন খাঁন আইয়ুব জানান, প্রয়োজনীয় সরকারি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কাকলী সিনেমা হলকে সিনেপ্লেক্সে রুপান্তরিত করে পুনরায় চালু করার ইচ্ছে আছে।মানসী সিনেমা হলের মালিক তপন রায় চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিনেমা হল সংস্কারে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু এবং নতুন হল নির্মাণ করা হচ্ছে। সেজন্য সহজ শর্তে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দিতে ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন হতে যাচ্ছে।সম্প্রতি হল সংস্কার, আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণের লক্ষ্যে হল মালিকদের ঋণ সুবিধা দিতে গঠিত এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি ‘অংশগ্রহণ চুক্তিপত্র’ স্বাক্ষরিত করেছে।