ইমরুল কায়েস,ববি প্রতিনিধি: একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একদিনের জন্য সড়ক অবরোধ স্থগিত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত আবারও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়ায় পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। তবে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একদিনের জন্য সড়ক অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে।
দিনটিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। এ ছাড়া, এদিন আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আজ বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা বৈঠক করে মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।
হামলায় আহত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি আলীম সালেহী জানান, একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সড়ক অবরোধ স্থগিত থাকবে। তবে সরাসরি হামলায় অংশ নেয়া যেসব সন্ত্রাসীদের নাম আমরা প্রকাশ করেছি তাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, শিক্ষার্থীদের যে তিনটি দাবি ছিল সেগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। তবে তাদের দাবি হামলাকারীদের নাম মামলায় অন্তর্ভূত করা এবং গ্রেপ্তার করা। কিন্তু সেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
তারপরও সেই অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে রূপাতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত ও ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই দিনই হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে কাউন্টারের সামনে সড়ক অবরোধ করলে পরিবহন শ্রমিক নেতারা তাদের অবরোধ তুলে নিতে বললে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এরপর রাতে রূপাতলী হাউজিং এলাকার মেসে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। এতে ১৩ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পরদিন বুধবার ভোর থেকে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ১৪ ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা। পরে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা দায়ের করে। তবে মামলায় অভিযুক্তদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মামলা প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় শনিবার সড়ক অবরোধ করেন।