শিরোমণি ডেস্ক : বরিশালের লাল শাপলার বিল পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। শাপলার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী ভিড় করছেন।বরিশাল নগরী থেকে প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরে উজিরপুর ও অগৈলঝারা উপজেলা নিয়ে এই লাল শাপলা বিল গড়ে উঠেছে। উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের সাতলা গ্রাম, হারতা ইউনিয়নের কালবিলা ও আগৈলঝারা উপজেলা বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামসহ প্রায় হাজার একর এলাকা জুড়ে এই লাল শাপলার বিল বিস্তৃত।স্থানীয়রা জানান, বর্ষায় এখানের সব বিল এলাকায় পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন প্রাকৃতিকভাবে শাপলা ফোটে। সাধারণত আগস্ট মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই শাপলা ফোটে। পরে বিলের পানি শুকিয়ে গেলে জমিতে ইরি ধানের চাষ করা হয়।শাপলার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী ভিড় করছেন।সাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, এখানে লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন অন্তত কয়েক হাজার মানুষ আসে। শুধু বরিশাল নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব দর্শনার্থী ছুটে আসছে। এখানে বিলের অন্তত সত্তর ভাগ সাতলা ইউনিয়নের মধ্যে বাকি ত্রিশ ভাগ হারতা ও আগৈল ছারা উপজেলার বাগধা ইউনিয়নে। এখানে নৌকায় ঘুরতে অন্তত দশ থেকে বারোটি পয়েন্টে দুইশ নৌকা প্রতিদিন চলাচল করছে। ফলে স্থানীয়ভাবে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।তবে, এখনো পর্যন্ত অবকাঠামো কোনো সুযোগ গড়ে ওঠেনি বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, 'এখানে একটি রেস্ট ও ওয়াশরুম এবং এখানে আসার রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে লোক সমাগম আরও বাড়বে। করোনার কারণে প্রায় দুই বছর এখানে পর্যটক ছিল না। তবে, বর্তমানে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসছে।'উজিরপুরের ইউএনও প্রণিতি বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানে পর্যটন ও বেসামরিক মন্ত্রণালয় একটি রেস্ট রুমসহ অবকাঠামোগত সুবিধা নিয়ে কাজ করছে।'প্রণতি বিশ্বাস জানান, গত বছর পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় নৌকা চলাচলের জন্যে একটি জেটি ও রেস্টরুম করার প্রকল্প নিয়েছে। চল্লিশ লাখ টাকার এই প্রজেক্টটির টেন্ডারও হয়ে গেছে। বছর শেষ হলে কাজ শুরু হবে।তিনি আরও জানান, এ ছাড়া এখানে ছয় কি.মি. রাস্তা সংস্কারে এলজিইডি টেন্ডার শেষ করেছে। কাজ শেষ হলে শাপলার বিল এই অঞ্চলের অন্যতম পর্যটন গন্তব্য হবে.নতুন এই টুরিস্ট স্পটের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন পর্যটকরা।