জাহিদুল ইসলাম,বরিশাল জেলা প্রতিনিধি: দরজায় কড়া নাড়ছে খুশির ঈদ। এ উপলক্ষে বরিশালে নৌপথের অগ্রিম টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে। তবে পদ্মা সেতুহওয়ায় পাল্টে গেছে চিরচেনা সেই চিত্র। লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চললেও যাত্রীচাপ নেই, ফাঁকা রয়েছে কাউন্টারগুলো। গত ৯ এপ্রিল ঢাকা ও বরিশাল থেকে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি হয়। মঙ্গলবার সকালেও টিকিট বিক্রি চলছে। এখন ১৭ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিলের টিকিট মিলছে কাউন্টারে। তবে নৌপথে এ বছর অনেকটাই যাত্রীচাপ কম হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিনে দেখা যায়, রঙের আঁচড়ে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে বরিশাল নদীবন্দরকে। কোথাও বা চলছে ঝালাই, মেরামত করা হচ্ছে প্টুলনের ভাঙাচোরা। এসবই ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বরণ করার প্রস্তুতি। ঝক্কিঝামেলা এড়াতে, আরামে যাতায়াতে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ ঢাকা থেকে, নদীপথকেই বেছে নিত। তবে পদ্মাসেতু হওয়ায় এখন চিরচেনা সেই রূপ পাল্টে গেছে। লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চললেও যাত্রীচাপ নেই। সুন্দরবন লঞ্চের ম্যানেজার শাকিল ইসলাম জানান, পদ্মাসেতু হওয়ায় এ বছর আর ভিড় দেখা যাচ্ছে না লঞ্চের টিকিটের জন্য। দুদিন হয়ে গেছে তারা আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। কিন্তু যাত্রী পাচ্ছে না বলে জানান শাকিল। এদিকে আগে এলে আগে পাওয়ার ভিত্তিতে চলছে লঞ্চের টিকিট বিক্রি, এ কথা জানান সুরভি লঞ্চের বরিশাল কাউন্টারের ম্যানেজার ফারহান। যাত্রীচাপ কম হবে জানিয়ে এ বছর লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস রাখা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। তবে বাড়তি মুনফার লোভে স্পেশাল সার্ভিস বন্ধ রাখা যাবে না জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক। তিনি জানান, লঞ্চ মালিকপক্ষ ঈদের সময় স্পেশাল সার্ভিস বন্ধ রাখতে চাইছে। সেটা বিআইডব্লিউটিএ করতে দেবে না। যাত্রীচাপ দেখা গেলে তাৎক্ষণিক বিশেষ সার্ভিস চালু করবে বিআইডব্লিউটিএ। বরিশাল নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ৩৬টি, দূরপাল্লায় ২০টি লঞ্চ চলাচল করে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু ঈদে এই সংখ্যা বাড়ে কয়েকগুণ। এ পথের যাত্রীদের দাবি, নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্টরা এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিক।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]