বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি:জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ‘ ২০২২-এ বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষিকা হিসেবে এখন জাতীয় পর্যায়ে যাচ্ছেন বরগুনার বেতাগী পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী বেতাগী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা আকতার।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা পদক- ২০২২ উপলক্ষে আগামী ৪ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় অংশ গ্রহণ করবেন। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ‘২০২২ উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ বেতাগী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা আকতারকে সেরা শিক্ষিকা হিসাবে নির্বাচিত করে।
এর আগে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ সেলিনা আকতার উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সেরা শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে বিভাগীয় পর্যায়ে বরিশাল অঞ্চলের সেরা শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় পর্যায়ে নাম লেখাতে যাচ্ছেন। তাঁর এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জণে শিক্ষা বিভাগ সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাঁকে ফুল ও ক্রেষ্ট দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়।
সেলিনা আকতার ২০০১ সালে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খন্তাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ বেতাগী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে আন্তরিকতা, সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিশেষ করে করোনা কালীণসময় অনলাইনে ঝুঁকি নিয়ে আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করানোর ফলে তিনি ছাক্র-ছাত্রীদের মাঝে সাড়া ফেলেন।
ঐ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা: জেসমিন আকতার জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা, শ্রেণি কক্ষে উন্নত ও সময়োপযোগি পাঠদান, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকান্ডে স্বর্তস্ফুত অংশ গ্রহণের পাশাপাশি মানুষ হিসেবেও সর্বদা হাসিখুশি, মানবিক ও সদালাপী।
শুধূ তাই নয়, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের কাছেও তিনি আপনজন। পঞ্চম শ্রেণির মেধাবি শিক্ষার্থী মো: মুসা খান বলেন,‘ ম্যাডামের পাঠদান অতুলনীয়, তাঁর হসুলভ আচরণ ও আন্তরিকতা আমাদের মুগ্ধ করে। ম্যাডামকে অভিভাবক হিসেবে আমরা সর্বদা পাশে পাই।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মন্নান বলেন, তিনি সবক্ষেত্রে পারদর্শী ও প্রানবন্ত শিক্ষক হিসেবে উপজেলার সর্বত্র তাঁর পরিচিতি রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে তিনি গৌরব অর্জণ করতে পারবেন এমনটাই মনে করি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: মিজানুর রহমান বলেন, তাঁর মেধা, দক্ষতা, উপস্থিত জ্ঞান আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলো। করোনা কালীণ অনলাইনে পাঠদানের কারণে শিক্ষারমান অক্ষুন্ন থাকে এবং তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের ফলে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হণ। তাঁর সার্বিক কর্মকান্ডের বিবেচনায় আশা করি তিনি জাতীয় পর্যায়েও সম্মান বয়ে আনতে সক্ষম হবেন ।