বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ বাঁশখালীর প্রধান সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন। সম্প্রতি গত এক সাপ্তাহে প্রায় নয়জন নিহত হয়েছে। এই নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম নিয়েছে।
এই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে পরিত্তানের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বরাবরে স্মারক লিপি ও দিয়েছে একটি মহল হয়েছে।
সেই সাথে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের একটি টিম বাঁশখালী থানার সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে
টি আই হাবিব হাসানের নেতৃত্বে গাড়ি চালকের কাছ থেকে ড্রাইভিং লাইন্সেস চেক করা হয়েছে লাইন্সেস ব্যতীত যেসব যানবাহন রয়েছে তাদের মামলা দেয়া হচ্ছে।
সম্প্রীত সময়ে বাঁশখালীর শেখেরখীল থেকে শুরু করে জলদী পৌরসভার অলি মিয়ার দোকান, চেঁচুরিয়া রাস্তার মাথা,রামদাস মুন্সির হাট ও চাঁদপুর বাজারে বেশী সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানা যায়।
বর্তমান সময়ে শুষ্ক মৌসুম হওয়াতে বিভিন্ন জায়গাতে মাটি ভরাট করছে ট্রাক যোগে। কিছু মাটির কণা রাস্তায় পড়ে গেলে এগুলো গাড়ির চাপা পড়ে রাস্তার সাথে মিশে যায়। গভীর রাতে কিংবা সকালে খোয়াশায় উক্ত মাঠি গুলো কাঁদায় রুপান্তরিত হয়ে পডে। ফলে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটছে।
অন্য দিকে চট্টগ্রাম সহ পুরো দেশে যাচ্ছে লবণের ট্রাক। লবণ সরবরাহ করতে গিয়েই অসচেতনতার অভাবে লবণ গলে পানি বের হয়ে রাস্তায় পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। যার কারণে বাঁশখালীর প্রধান সড়কটিতে গাড়ি থামাতে গেলে স্লিপ হয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে।
এক বিশেষ জরিপে দেখা যায়, রাস্তা কার্পেটিং করার পর থেকে প্রতিদিন বাঁশখালীর প্রধান সড়কে দুই চারটা ছোট বড় এমনকি সময়ে সময়ে অনেকে নিহত হওয়া ঘটনা ও ঘটছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কিছু কিছু গাড়ি চালক বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছে। বিশেষ করে অদক্ষ ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন সিএনজি ট্রাক চালকের কারণে এই দুর্ঘটনা গুলো হচ্ছে।
অন্য দিলে পল্লি বিদ্যুৎ এর খুঁটির জন্য বড় বড়
দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিনে গিয়ে কয়েকজন ড্রাইবার এর সাথে কথা বলতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের কোন লাইসেন্স নাই। গাড়ির কাগজ বাড়িতে রেখে আসছি। আমরা প্রথমে স্কুলের মাঠে গাড়ি চলা শিখে বর্তমানে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছি। আর সবাই ত এক্সিডেন্ট করতেছে না। যারা করতেছে তারা হয়ত বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছে নাইলে ওভারটেক করতে গিয়ে, নাইলে ব্রেক ফেইল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।
অভিযান শেষে এ টি এসআই ফেরদৌস বলেন,
গাড়ির ডকুমেন্ট চেক করা হচ্ছে যাদের ডকুমেন্ট নাই তাদের আইন আনুগ ব্যবস্তা নেয়া হচ্ছে এই অভিযান চলমান থাকবে। আজ বিশেষ করে মোটরবাইক, সি এন জি,ট্রাক, ড্রাম ট্রাক সহ যে গাড়ি গুলো চোখের সামনে পড়েছে এগুলোর মামলা দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে এখন হয়ত মোটরবাইক ধরা হচ্ছে পরবর্তীতে সি এন জি ধরা হবে। আজ মোট নয়টা গাড়ি আটক করা হয়েছে তার মধ্যে পিকআপ একটা আর আটটি সি এন জি সবাইকে মামলা দেয়া হয়েছে।
এই সমস্যার জন্য বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, যারা মোটরসাইকেল চালায় তাদের অবশ্যই মাথায় হেলমেট বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। গাড়ির গতি কমাতে হবে বলে আমি মনে করছি।
৫ views