বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারতে এখন করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলি বাংলাদেশ অনুস্মরণ করতে পারে। তার জন্য যেসব সহযোগিতা দরকার তা করা হবে। ভারত করোনা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে অংশগ্রহণমূলক কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি শনিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
বেলা ১১টার দিকে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এবং ভারতীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (পাবলিক কূটনীতি) দীপ্তি আলংঘাট মির্জাপুর কুমুদিনী কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছান। সেখানে তাদের স্বাগত জানান কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার পরিচালক মহাবীর পতি, পরিচালক সম্পা সাহা, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুল হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, এজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক প্রমুখ।
কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা চক্র শেষে হাইকমিশনার টি বি ওয়ার্ডের পাশের মাঠে যান। সেখানে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মির্জাপুরে নিহত সাতজন ভারতীয় সৈন্যের স্মরণে নির্মিত স্মৃতি ফলক উন্মোচন করেন এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় করা কুমুদিনী হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন।
পরে কুমুদিনী হাসপাতাল পরিদর্শনের প্রাক্কালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, করেনা পরিস্থিতিতে ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে অংশগ্রহণমূলক কাজের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে করোনা টিকা, অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করেছে।
কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার কথা স্মরণ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, তার প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতাল এই অঞ্চলের মানুষদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
মধ্যাহ্ন ভোজের পর বেলা তিনটায় ভারতীয় হাইকমিশনার কুমুদিনী হাসপাতালের আনন্দ নিকেতনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। বিকেল চারটায় তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]