সেই মজুদ থেকে আবার অনেক অর্থ খরচ হয়ে যায়। সাধারণত আমদানি, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা বিদেশে শিক্ষা ইত্যাদি খাতে এই মুদ্রা খরচ হয়।
মোট মজুদ থেকে এই খরচ বাদ দেয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যা সঞ্চিত থাকে, সেটাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
করোনাভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্য পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায়, সেইসাথে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার কারণে রিজার্ভের মজুদ কমে এসেছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এর ফলে বাণিজ্য ঘাটতিও ক্রমেই বাড়ছে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব বলছে, অক্টোবরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার৷ আয় হয়েছে ৪.৩৫ বিলিয়ন ডলার৷ অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ১২.৮৭%৷
চলতি অর্থবছরের জুন-জুলাই থেকে প্রবাসী আয় রকেট গতিতে কমেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। এক ধাক্কায় ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স কমে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১.৫২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি৷ যা গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় প্রায় ৭.৫৫% কম।