পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় প্রকল্প চীনের অর্থায়নে গৃহীত হয়েছে। এছাড়া বড় প্রকল্পগুলোতে চীন ঠিকাদার হিসেবেও কাজ করছে।
চীনের বিস্তৃত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের সফট পাওয়ার বাড়ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে অবকাঠামো খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ নেই বললেই চলে।
সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবীর মনে করেন, এই বিষয়টি এরই মধ্যে পশ্চিমাদের নজরে এসেছে এবং তার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতেও শুরু করেছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সম্প্রতি জাপানের হিরোশিমা শহরে জি-৭ ভূক্ত দেশগুলোর যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে এই অঞ্চলে ৬০০ বিলিয়ন ডলার অবকাঠামোগত বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে আছে।
এছাড়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনেও এই অঞ্চলে বিনিয়োগের বিষয়টি স্থান পেয়েছে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা দেশগুলো বর্তমানে আগ্রহী হচ্ছে বলেও জানান মি. কবীর।
সহজ ও আকর্ষণীয় শর্ত ও উপাদান নিয়ে কেউ বিনিয়োগ করতে আসলে বাংলাদেশের সেটা লুফে নেওয়াটাই স্বাভাবিক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. সাহাব এনাম খান বলেন, বাংলাদেশ এখন চীনের বলয়ে আছে বলাটা ঠিক হবে না। বরং বাংলাদেশ একটা বৈচিত্র্যময় পররাষ্ট্র পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। তবে এট সম্পন্ন হতে সময় লাগবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে চীন এরই মধ্যে বলে দিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী নয়।
তবে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে যুক্তরাষ্ট্রের একটা তাগিদ রয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এখানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার মতো ইস্যুগুলো নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। যাকে বাংলাদেশ সরকার নিজেদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ বলেই মনে করে।