তিনি টেলিফোনে বলছিলেন, “বাংলাদেশ আর্মি আমাদের গ্রামগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। গুলিগোলা চলছে, বোমা ফেলছে। আমাদের বাড়ির সামনেই বোমা পড়েছে। গ্রাম থেকে ১৪ জনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। ভয়ে আমরা জঙ্গলে পালিয়ে গিয়েছিলাম।"
মি. থাংবমদের গ্রামে প্রথম সেনা অভিযান হয় নভেম্বরের ১৫ তারিখে, আর পরের দিনই তারা পালিয়ে যান গ্রাম ছেড়ে।
“তিনদিন ধরে হেঁটেছি আমরা বাচ্চা, বউ, বয়স্ক মানুষদের নিয়ে। একজন প্যাস্টর (খ্রিস্টান পাদ্রী) জঙ্গলের মধ্যেই জল আর খাবারের অভাবে মারা গেছেন,” বলছিলেন মি. থাংবম।
একই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বান্দরবানের রুমানা পাড়ার বাসিন্দা মঙলিয়াংথাংকো। তিনিও পরিবার নিয়ে দিন তিনেক ধরে হেঁটে মিজোরামে পৌঁছিয়েছেন।
তার কথায়, “আমরা রাস্তা চিনতাম না, তাই ভুল করে মিয়ানমারে ঢুকে গিয়েছিলাম। সেখানে দুদিন থাকার পরে ভারতে এসেছি। প্রথমে আমাদের একটা বড় হলঘরে গাদাগাদি করে থাকতে হয়েছে, তারপর ঘর বানানোর সরঞ্জাম দিয়েছে ইয়াং মিজো অ্যাসোসিয়েশন আর এখানকার সরকার। তাই দিয়ে আমাদের কেউ কেউ ঘর বানিয়েছি। কবে নিজের দেশে ফিরতে পারব জানি না। পালিয়ে আসার সময়ে কিছুই সঙ্গে আনতে পারিনি।" (বিবিসি বাংলা)
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]