রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || বৃহস্পতিবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
বাগেরহাটের কচুয়ায় হাসি নেই কৃষকের মুখে
উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ
কাল বৈশাখী ঝোড়ো বাতাসে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গত ৪ এপ্রিল রবিবার রাতে কাল বৈশাখী ঝোড়ো বাতাসে লন্ড-ভন্ড হয়েছে কৃষকের স্বপ্ন।
বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝোড়ো বাতাসে কচুয়া উপজেলার ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় উপজেলার ৭ ইউনিয়নে হাজার হাজার একর জমির ধান আর কৃষকের গোলায় উঠবে না।এতদিন সবুজ ক্ষেতের বুকে কৃষকের যে সাফল্যের হাসি ছিল তা একরাতের ঝোড়ো বাতাসে ম্লান হয়ে গেছে।কৃষকের কপালে এখন সারাক্ষণ দুশ্চিন্তার ভাজ।
এমন খবরের সত্যতা যাচাইয়ে ৬ এপ্রিল কচুয়া উপজেলার কয়েকটি ধানক্ষেতে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে কাল বৈশাখী ঝোড়ো বাতাসে ধানের ফুল ঝরে যাওয়ায় প্রতিটি ধানের শীষ এখন সাদা ফ্যাকাশে চিটায় রুপান্তর হয়েছে। কাছে গেলে দেখাযাবে এমন হতাশার চিহ্ন।
এ উপজেলার বাঁধাল ইউনিয়নের কৃষক আষিশ দাসের সাথে কথা হয় তিনি বলেন,তার ধানক্ষেত সহ আসপাশের ধানক্ষেতের এমন অবস্থায়।এই ক্ষতি থেকে কি ভাবে পুষিয়ে উঠব তা বুঝে উঠতে পারছি না।
মঘিয়া ইউনিয়নের বর্গাচাষি বিপ্র দাসের সাথে কথা হয় তিনি বলেন,ধারদেনা করে অনেক পরিশ্রমের ফসল আজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।আরেক কৃষক আনছার আলী বলেন প্রথমে আমি ভেবেছিলাম মনে হয় পোকার আক্রমণ হয়েছে পরে দেখি সারা ক্ষেতের একি অবস্থা।এনিয়ে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছে ঝোড়ো বাতাসে এমন হয়েছে।এ অবস্থায় কিছু করার নেই।এখন কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।
কচুয়া সদর ইউনিয়নের কৃষক মনিসংকর সাহার সাথে কথা হলে তিনিও হতাশা প্রকাশ করেন।এছাড়াও বেশ কিছু কৃষকের সাথে কথা হয় তাদের সবার মুখের হাসি এখন ম্লান।
এখন কৃষকের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে ।এমন অবস্থায় কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় সরকারের সাহায্যে প্রার্থনা করেছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.