পঞ্চম ওভারে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করার পর আম্পায়ার ইমন পারভেজ সাড়া না দেয়ায় মেজাজ হারিয়ে ফেললেন সাকিব আল হাসান। আম্পায়ারের সামনেই লাথি দিয়ে এলোমেলো করে দিলেন স্টাম্প, উড়িয়ে দিলেন বেলস। চোখে চোখ রেখে তর্কে জড়ালেন আম্পায়ারের সঙ্গে। পরের ওভারে অন্য প্রান্তে আবার দেখা গেলো একই রকম ঘটনা। ওভারের পঞ্চম বল শেষ হতেই বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। এবার মিডঅফে ফিল্ডিং করছিলেন সাকিব। দৌড়ে এসে তুলে নেন স্টাম্প। এরপর আছাড় মারেন। সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেক আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান। আম্পায়ারের সামনে গিয়ে তিন স্টাম্পই তুলে নিয়ে আছাড় মারলেন মাটিতে। এ সময় আবাহনীর স্কোর ৫.৫ ওভারে ৩১ রান ৩ উইকেটে। উইকেটে ছিলেন মোসাদ্দেক ও মুশফিক।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ম্যাচে এমন ঘটনার ঘটান মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এই দুটি ঘটনার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে মাঠ ছাড়ার সময় আবার তাকে দেখা যায় বিতর্কে জড়াতে। এবার অশালীন ভঙ্গি ব্যাবহার করেন আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকে। সাকিবের সেই ভঙ্গি দেখে আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদকে দেখা যায় তেড়ে যেতে, সাকিবকে টেনে নিজেদের ড্রেসিংরুমে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। । মোহামেডানে শামসুর রহমান তখন দৌড়ে এগিয়ে গিয়ে নিবৃত্ত করেন খালেদ মাহমুদকে।
সেই ঘটনার জেরেই ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে সাকিবের দিকে তেড়ে যান আবাহনী কোচ সুজন। তবে দু’দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা তাদের জাপটে ধরে আটকান বড় বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরির আগে। পরে ভুল বোঝাবুঝিরও অবসান ঘটে।
সুজন মনে করেছিলেন, সাকিব তাকে লক্ষ্য করে কোনো অশ্লীল ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু সাকিব নিশ্চিত করেন- সুজনকে নয়, অপ্রীতিকর মন্তব্য করা আবাহনী সমর্থকদের উদ্দেশ্যেই হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
এ বিষয়টি তাই সেখানেই সুরাহা হয়। নতুন করে আর কোনো উত্তেজনা ছড়ায়নি।
তবে বৃষ্টি কমে আসলে ডিএল মেথডে ৯ ওভারে ৭৬ রানের নতুন টার্গেটে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী এবং ৯ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান করতে সমর্থ হয় ফলে মোহামেডান ম্যাচটি জিতে নেয় ৩১ রানে। এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করে মোহামেডান।