বৃহস্পতিবার (২৪নভেম্বর) দুপুরে এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ ঘেটে জানা যায়,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও চিত্র প্রকাশ হলে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে গতকাল বৃহস্পতিবার রেঞ্জ বন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীসহ তার অফিসের পিএম জিয়াউল হক রাজু ও গাড়ি চালক টিপলু দেবকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করতে যান।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান ধনমিয়াসহ আরো কয়েকজন পাখি শিকার ও পাচার করছে বলে নাম জানতে পারেন। ঘটনার দিন পাখি শিকারের সময় স্থানীয় জনসাধারণ ইউপি চেয়ারম্যানকে বাধা প্রদান করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত না করে পাখি শিকারে লিপ্ত থাকেন। ইউপি চেয়ারম্যান নিয়মিত একজন পাখি শিকারী বলেও জানায় উপস্থিত ব্যক্তিরা। পাখি শিকার করার ভিডিও চিত্র বন কর্মকর্তাদের হাতে রয়েছে।পাখি শিকার ও পাচার করা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর দন্ডনীয় অপরাধ। ইউপি চেয়ারম্যান এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কারো বাধা না মেনে আইন না মেনে প্রতিদিন হাওরে গিয়ে পাখি শিকার করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়।পাখি শিকার ও পাচার করায় ইউপি চেয়ারম্যান ধনমিয়া বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ৬ ও ৩৮ ধারায় অপরাধ সংগঠিত করেছেন তাই তিনি শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। অভিযুক্ত ব্যক্তি ও অজ্ঞাত পাখি হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বানিয়াচং থানার ওসি’র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রেঞ্জ বন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী।বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধানপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এসআই ওমর ফারুককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধনমিয়া ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আহত করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এর আগে, বানিয়াচং উপজেলা সদরের ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নে ছান্দ সর্দার নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে বন্দুক দিয়ে গুলি চালান ধন মিয়া। তার এই গুলি চালানোর ফলে প্রায় ৩০/৪০ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়। নিয়ম বহিভূর্তভাবে ইউপি চেয়ারম্যান ধনমিয়ার বন্দুক চালানোতে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিকার চেয়ে একাধিক ভুক্তভোগী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের ও করেছিলেন।