রেদোয়ান হাসান,সাভার,ঢাকাঃবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পাঁচ দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের আগমন ও শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যেই জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা জুড়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ।২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরুর সাত দিন আগে থেকেই সৌধ এলাকা ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ সদস্য। এমনকি নিরাপত্তার স্বার্থে সৌধ এলাকার আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে নতুন কেউ আসলেই পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।গত কয়েক দিন ধরেই সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের নিকটতম কুরগাঁও সহ আশপাশের প্রায় ৫’শ বাড়িতে এই নির্দেশনা পৌছে দিয়েছে পুলিশ।সাভার গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।ওই দিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।এরপর ১৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে, ২২ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।সবশেষ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধের দুটি গেট, কুঁরগাও মোড় ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন আছে। এছাড়া স্মৃতিসৌধের ভিতরে হ্যালিপ্যাড ও মূল বেদিতে সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্য রয়েছে। এছাড়া স্মৃতি সৌধের চতুর্দিকে পুলিশের তিনটি টহল টিম কাজ করছে।তিনি আরও বলেন, স্মৃতিসৌধের আশপাশের এলাকার সব বাড়ির বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ জন্য তাদের তথ্য ফরম সরবরাহ করেছি আমরা। নতুন কোন মুখ কিংবা ভাড়াটিয়া কারো বাড়িতে উপস্থিত হলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই তার তথ্য ফরমের মাধ্যমে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান। এজন্য তারা এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কয়েক দফা সভাও করেছেন।