প্রথম পছন্দের নয় খেলোয়াড় বেঞ্চে রেখে নামা বায়ার্ন মিউনিখকে শুরু থেকে চাপে রাখল আটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে পেয়ে গেল কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখাও। কিন্তু শেষ দিকে গোল হজম করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করল দিয়েগো সিমেওনের দল। তাতে ঝুলে গেল দলটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে ওঠাও। ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় ‘এ’ গ্রুপের ফিরতি লেগে প্রতিযোগিতার শিরোপাধারীদের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে আটলেটিকো।
নকআউট পর্বের টিকেট পেয়ে যাওয়ায় রবের্ত লেভানতোভস্কি, টমাস মুলার ও মানুয়েল নয়ারসহ নয়টি পরিবর্তন এনে আটলেটিকোর বিপক্ষে ম্যাচের একাদশ সাজান বায়ার্ন কোচ হান্স ফ্লিক। শুরু থেকে বায়ার্নের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে লা লিগায় টানা ছয় ম্যাচ জিতে আসা আটলেটিকো। ষষ্ঠ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের থ্রু বল ধরে আন্দ্রে কোররেয়া শট নেন গোলরক্ষক আলেক্সান্দার নুবেল বরাবর।
২৬তম মিনিটে ফেলিক্সের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় আটলেটিকো। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মার্কোস ইয়োরেন্তের বাইলাইন থেকে কাট ব্যাকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড নিখুঁত সুইপে জাল খুঁজে নেয়।
ব্যবধান বাড়াতে বায়ার্নের রক্ষণে চাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে আটলেটিকো। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল মেলেনি। ৩৭তম মিনিটে ইয়ানিক কারাসকোর নিচু ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন ইয়োরেন্তে। কিন্তু ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
৫৮তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে দ্বিতীয় গোল পায়নি আটলেটিকো। ইয়োরেন্তের ছোট পাস কোররেয়ার পা ঘুরে পেয়ে যান ফেলিক্স। বক্সের ভেতর থেকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে।
নিষ্প্রাণ থাকা আক্রমণভাগে শক্তি বাড়াতে ৬২তম মিনিটে হাভি মার্টিনেসকে তুলে মুলারকে নামান বায়ার্ন কোচ। ৮৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ম্যাচে সমতা ফেরান মুলার। জার্মান এই ফরোয়ার্ডকেই ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল বায়ার্ন। বাকি সময়ে আর জালের দেখা পায়নি কোনো দলই।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]