দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক: ওয়ান ইলেভেন সবকিছু একেবারে তছনছ করে দেয়। এরপর টানা ১৮ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। তবে আরেকটি বিখ্যাত তারিখ বিএনপিকে প্রত্যাশিত কিন্তু নাটকীয়ভাবে ড্রাইভিং সিটে নিয়ে এসেছে।
৫ই আগস্ট হাসিনার পলায়নের পর বিএনপি তার দুঃসময় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। রাজপথ থেকে প্রশাসন সর্বত্র দলটির কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তারপরও বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কথায় একধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশিত হচ্ছে। অন্তত বক্তৃতা-বিবৃতিতে তারা দ্রুত নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরি করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একধরনের রোডম্যাপ দিলেও বিএনপি তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। দলটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানানো হয়েছে। এমনকি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোটের অধিকারের দাবিতে রাজপথে নামার কথাও বলছেন। বিএনপিতে কেন এ ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। দলটির ভেতরে-বাইরে কথা বলে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়বে। ভারত বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও তারা এসব বিষয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছে। পণ্য সরবরাহসহ নানা ইস্যুতে পতিত সরকারের সহযোগীরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করবে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। অন্য কোনো শক্তি যার সুযোগ নিতে পারে।