যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্যাদি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া, আরও যাচাই-বাছাই করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকেও একই তথ্য পাঠানো হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নিজ দফতরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে আমি লিখেছি, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালায় আয়-ব্যয় হিসাব দেওয়ার বিধান আছে। যেহেতু বিএনপির পল্টনের ঠিকানায় এই চুক্তি হয়েছে, সেজন্য কোন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেলো এবং সেটি লিপিবদ্ধ কিনা বা নিরীক্ষিত যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে ওই সময়ের জন্য, সেখানে এই লেনদেন লিপিবদ্ধ আছে কিনা তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছি। যদি এর ব্যত্যয় হয়, তবে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আমি মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো লেনদেনের দালিলিক প্রমাণ আমার কাছে নেই। এটি বিশেষজ্ঞদের কাজ। আমার কাছে যতটুকু প্রাথমিক তথ্য আছে ততটুকু দিয়েছি। বর্তমান আইনের আলোকে যাচাই-বাছাই করতে এবং কোথাও ব্যত্যয় পেলে, প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানিয়েছি।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে অন্তত ৩৭ লাখ ডলার খরচ করেছে।