আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জনআস্থার তীব্র সংকটে ভুগছে। বিএনপি আছে বলেই ষড়যন্ত্র আছে, বিএনপির আছে বলেই আগুন সন্ত্রাস আছে। তাই দেশের রাজনীতিতে বিএনপির থাকা না থাকা নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই।
আজ বুধবার (২ জুন) এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের ‘তারা আছেন এবং রাজনীতিতে সোচ্চার’ বক্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি থাকুক, তবে অপরাজনীতি ত্যাগ করে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুক, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করুক।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব বক্তব্য বিএনপির চলমান ভাঙা রেকর্ড, যা তারা বাজিয়েই যাচ্ছে। প্রতিহিংসা নয়, সরকার উদার বলেই বিএনপি নেত্রী এখন পছন্দের ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে পারছেন বলে দাবি করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতাই বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের মাঝে এতটুকু কৃতজ্ঞতাবোধও নেই।
বিএনপি মহাসচিবের ‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, সরকার গণবিচ্ছিন্ন’ বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানতে চান- বিচ্ছিন্নতার মাপকাঠি কী? নির্বাচনই যদি মাপকাঠি হয়, তাহলে সাম্প্রতিক নির্বাচন, উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য প্রায় সব নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে জনগণ কার সঙ্গে আছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও প্রমাণ হবে জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের সঙ্গে আছে, নাকি বিএনপির সঙ্গে আছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতমুখী রাজনীতি বিএনপির ষড়যন্ত্র ও উন্নয়নবিমুখ রাজনীতিতে সংকটের প্রকট ছায়া ফেলেছে। তাই বিএনপি এখন হতশ্রী ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, বিএনপি জলাতঙ্ক রোগের মতো জনগণ ও নির্বাচন আতঙ্কে ভুগছে। বিএনপি নেতাদের সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, অভিযোগ শুনে মানুষ হাসে। কেননা দেশের অর্থনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল অর্থনীতির মর্যাদায় অভিষিক্ত। বিএনপি এখনও হাওয়া ভবনের কালো চশমা পরে আছে বলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দেখতে পায় না, দেখলেও তা সহ্য হয় না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে নেতিবাচক রাজনীতির বৃত্তে বন্দি থাকলে সামনের দিকে তাকিয়েও তাদের কোনো লাভ নেই।