বিক্ষোভ ইরানের ক্ষমতাসীনদের হঠাতে সক্ষম হবে না বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।বাংলাদেশে ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ইরান বিষয়ক গবেষক রাজিয়া সুলতানা মনে করেন, বিক্ষোভ যদি আরো চলতে থাকে তাহলে হয়তো কিছু সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
কিন্তু এটি ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারবে না।
"তাদের যে পলিটিকাল স্ট্রাকচার আছে সেটা চাইলেই পরিবর্তন করা যাবে না। ইরানের রাজনৈতিক কাঠামো ওভাবেই তৈরি করা। ফলে সেখানে কোন আঘাত আসবে ন," বলেন রাজিয়া সুলতানা।
এর বড় কারণ হচ্ছে দেশটির বিশাল এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনী।
ইরানে রেভ্যুলশনারি গার্ড এবং তাদের আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আরো প্রায় পাঁচ লাখের মতো।
দুই হাজার নয় সালে দেশটিতে যখন 'গ্রিন মুভমেন্ট' হয়েছিল তখন নিরাপত্তা বাহিনীগুলো তাদের শক্তি দিয়ে সরকারকে টিকিয়ে রেখেছিল।
তিনি লিখেছেন, ইরানের শাসক গোষ্ঠী জনগণের স্বার্থে না হলেও তাদের নিজের স্বার্থে হিজাবের উপর ছাড় দিলে লাভ হবে।
এখন দেখার বিষয় হচ্ছে এই বিক্ষোভ কতদূর যাবে। এই বিক্ষোভ বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধানের বিষয়টি বিলুপ্ত করা এবং নারীদের হিজাব পরিধানের উপর পুলিশের নজরদারি বন্ধ করা পর্যন্ত যায় কি না।
তবে একসময় যেটা অকল্পনীয় ছিল এই বিক্ষোভের মাধ্যমে সেটি অর্জন হয়েছে বলে মনে করেন মি. সাজ্জাদ সাফাঈ।
এখন থেকে অধিকাংশ ইরানি যে বিষয়টিকে অপরাধ মনে করে না সেটি নিয়ে যদি ইরানের সরকার শাস্তি চাপিয়ে দিতে চায় তাহলে তাদের মূল্য দিতে হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]