দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত দুই মেয়াদের বিপুল বিজয় ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিগত নির্বাচনে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির বিজয় এসেছিল অনায়াসে। যাকে বলে ‘ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টরি’ বা ভূমিধ্বস বিজয়। বিরোধীদলগুলো তার ধারেকাছে ছিল না। এবার সেরকম অনায়াস বিজয় দলটির জন্য একটু কঠিন বলেই মনে হচ্ছে। বিজেপি’র উত্থান ছিল বিস্ময়কর। যে কংগ্রেস দীর্ঘ সময় ভারতকে শাসন করে আসছিল, সেই কংগ্রেস বিজেপি’র উত্থানে একেবারে ভূমিতে লুটিয়ে পড়ে। দলটি যতদিন ক্ষমতায় ছিল, ততদিন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ নীতি মোটামুটি অক্ষুণ্ন ছিল। উগ্রপন্থা অবলম্বন কিংবা মুসলমানদের ভারতের মাটি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিশেষ কোনো আইন করেনি। ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার উদগ্র বাসনা কিংবা উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর আস্ফালন বিজেপি’র শাসনামলের মতো ছিল না। ২০১৪ সালে যখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে, তখন তার স্লোগান ছিল ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’। যদিও বিজেপি ২০০৪ সালে এই স্লোগান ব্যবহার করেছিল, তবে তা ভারতের জনগণকে আশ্বস্ত করতে পারেনি। তার কারণ, তার দুই বছর আগে মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ দিয়ে যে ভয়াবহ দাঙ্গা বাঁধিয়েছেন এবং তাতে মুসলমানদের যেভাবে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছিল, সেই ক্ষত তখনো ভারতের জনগণের মন থেকে মুছে যায়নি। সে সময় নির্মম ও ভয়াবহ মুসলমান নিধনযজ্ঞের কারণে মোদি আদালতে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।