পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগ মুহূর্তে চলতি বছরের ৭ মার্চ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারেও অংশ নিয়েছিলেন। তখন গুঞ্জন উঠেছিল, বিজেপি জিতলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
তবে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির করুণ পরাজয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠা আর হয়নি মিঠুনের।
কিন্তু ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিতে যোগ দেয়ার মূল্যায়ণ তিনি পাচ্ছেন। সেটি প্রমাণ করে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে চিত্রনায়ক মিঠুন চক্রবর্তীর স্থান পাওয়ায়।
এদিকে উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনরত কৃষকদের কয়েকজনকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার ঘটনার সমালোচনার পর জাতীয় নির্বাহী কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন দলের সাবেক দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধী ও তার ছেলে বরুণ গান্ধী।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৮০ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করে দলটি। কমিটির ৮০ সদস্যের মধ্যে ৩৭ জনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য। একই সঙ্গে ১৭৯ সদস্যের স্থায়ী আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে গঠিত কমিটিও ঘোষণা করেছে বিজেপি।
বিজেপির কমিটিতে মিঠুন ছাড়াও ঠাঁই পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী এবং রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেওয়া হয়েছে আমন্ত্রিত অতিথির তালিকায়।
বিজেপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও ঠাঁই পেয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ, স্বপন দাশগুপ্ত, মুকুটমণি অধিকারী, ভারতী ঘোষ ও অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। আর আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় নাম এসেছে রাজ্যের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, সাংসদ জয়ন্ত রায়, রুপা গঙ্গোপাধ্যায় ও নারীনেত্রী মাহফুজা খাতুনের।
বিজেপির নতুন জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে আছেন, দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নিতীন গড়কড়ি, পীযূষ গোয়েলর মতো বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে যুক্ত মিঠুন চক্রবর্তী। প্রথমে বামপন্থী রাজনীতি করলেও পরে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। সর্বশেষ তিনি বিজেপিতে নাম লেখানা।
এ ছাড়া মিঠুন চক্রবর্তী ২৫ বছর সর্বভারতীয় মজদুর ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন।