প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার বিষয়টি আমার সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার আগে থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা দেওয়ার বিষয়ে সব উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তারই ফল হিসেবে দেশব্যাপী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে কোভিড টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় এবং যা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের (টিটু) লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রমের আওতায় ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮,৯১,৬৩,৯৭৮ (আট কোটি একানব্বই লাখ তেষট্টি হাজার নয়শ আটাত্তর) জনকে ১ম ডোজ এবং ৫,৭০,২০,৮৩৪ (পাঁচ কোটি সত্তর লাখ বিশ হাজার আটশ চৌত্রিশ) জনকে ২য় ডোজসহ সর্বমোট ১৪,৬১,৮৪,৮১২ (চৌদ্দ কোটি একষটি লাখ চুরাশি হাজার আটশ বার) জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বের মতো দেশের কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, বাংলাদেশ (NITAG, B) এর সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে দেশব্যাপী গত ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর যাদের ৬ (ছয়) মাস অতিক্রম হয়েছে তাদেরকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জনগোষ্ঠীকেও বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭,৪১,২৬৫ (সাত লাখ একচল্লিশ হাজার দুইশ পঁয়ষট্টি) জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ও সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বর্তমানে দেশব্যাপী প্রায় ৭১৮টি স্থায়ী কেন্দ্রে, ৬০৫৮টি অস্থায়ী/ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে এবং ১৩,৯৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে (ক্যাম্পেইন চলাকালে) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মার্চ ২০২২ নাগাদ শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যে বর্তমানে ওয়ার্ড পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]