এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে ১১৩৬ জনকে। এরমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ৪০৪ জন।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ১১০টি। যাতে অভিযুক্ত হয়েছেন ২২৩ জন । গ্রেফতার হয়েছেন ৫৪ জন সাংবাদিক।
এরমধ্যে ৪০% মামলাই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর পরিবার, মন্ত্রী, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে কটূক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূল টার্গেট হয়েছেন সাংবাদিক না হলে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
এছাড়া, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা, গুজব রটনা বা সরকারের সমালোচনা করা-এমন সব অভিযোগে এনেও আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে বলে সংগঠনটির জরিপে উঠে এসেছে।
আইনটি পাস হওয়ার আগে থেকেই আশঙ্কা ছিল, আইনটির অনেক ধারায় হয়রানি ও অপব্যবহার হতে পারে। এমন কয়েকটি হয়রানিমূলক ধারা সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিল আর্টিকেল নাইনটিন।
সংস্থাটির লন্ডন কার্যালয়ের আইন বিভাগ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রতিটি ধারা খতিয়ে দেখে ২০১৯ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করে।
আইনটির কোন কোন ধারা আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সাংঘর্ষিক, প্রতিবেদনে তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
সংগঠনটি এই প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়ে সংস্কারের পরামর্শ দিলেও আজ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
পরে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রতিবেদনটির বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী একটি কমিটি করার কথা জানান। যারা আইনের ধারাগুলো রিভিউ করবে।
কিন্তু এখনও কোন রিভিউ হয়নি। আইনমন্ত্রীর একটাই কথা “আলোচনা চলছে”।
কিন্তু এই সময়ের মধ্যে আইনের লাগাতার অপব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ফারুক ফয়সল।
“এই আইনে সংস্কার আনা না হলে এটি ‘কালা কানুন’ হিসেবে পরিচিতি পাবে। এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এই আইনের কোন ভিত্তি থাকবে না। কিন্তু সরকার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।” তিনি বলেন
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাল্টা প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, “বাক স্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন বা প্রয়োগ করা হয়নি। কিন্তু কেউ যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটা অন্যায় করে জনগণ কি তার বিচার চাইবে না?