দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক: দল গঠনের প্রক্রিয়া অনেকটা গুছিয়ে এনেছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ঘোষিত হতে পারে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল। শুরুতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে পরবর্তীতে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন তারা। ইতিমধ্যে সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফরম জাতীয় নাগরিক কমিটি। নতুন দল ঘোষণার আগে ছাত্ররা যোগাযোগ রক্ষা করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও। উদ্দেশ্য- তাদেরকে নতুন দলে ভেড়ানো। এ ছাড়াও বিভিন্ন দলের নেতারা নিজ থেকেও যোগাযোগ করছেন ছাত্রদের সঙ্গে। ছাত্রদের যোগাযোগ হচ্ছে সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের বিষয় সামনে এনেছেন ছাত্ররা। উদ্দেশ্য- পুরনো বন্দোবস্তকে বিদায় দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা। তারুণ্য নির্ভর দল গঠন করে সব মত-পথের মানুষকে ঠাঁই দিতে চায় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নেতাদের দাবি- মধ্য পন্থার এ নতুন রাজনৈতিক দল হবে গণমানুষের দল। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত।
দল ঘোষণাকে সামনে রেখে পর্যায়ক্রমে পদত্যাগ করবেন সরকারে থাকা ছাত্রদের তিন প্রতিনিধি। যাদের একজন নতুন দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে পারেন। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সরকারের আইসিটি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নাহিদ ইসলাম। যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নম্বর সমন্বয়ক ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, নাহিদকে সামনে রেখে দল ঘোষণা হতে পারে। নাহিদের পর উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। যিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন।
নাহিদের পদত্যাগের পরের ধাপে আসিফ পদত্যাগ করতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে অথবা অক্টোবরের শেষে পদত্যাগ করতে পারেন। তবে পদত্যাগ ইস্যুতে গতকাল নাহিদ ইসলাম বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। যদি হয় তাহলে আমরা নিজেরাই বলবো। রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণের পরিস্থিতি হলে, আমরা সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নি