বিমসটেক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সদস্য দেশগুলো যেকোনো চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার (২০ এপ্রিল) অনলাইনে ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)’ সদস্য দেশগুলোর জ্বালানি মন্ত্রীদের তৃতীয় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানির টেকসই সরবরাহ অপরিহার্য। সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই জ্বালানির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হলে সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে হবে। বিমসটেক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সদস্য দেশগুলো নিজেদের অর্থনৈতিক ও কারিগরি অবস্থার উন্নতি করতে পারবে। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে সেগুলোকে সুযোগে পরিণত করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত, ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাকে সবসময়ই গুরুত্ব দেয়। আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে বিমসটেকের সহযোগিতা বাড়াতে হবে। সমস্যাগুলো দ্রুত, সমষ্টিগত এবং দৃঢ়তার সঙ্গে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, নিয়মিত বৈঠক, বার্ষিক ইভেন্ট ক্যালেন্ডার, ই- লাইব্রেরি, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণ বিমসটেককে আরও গতিশীল করবে।
জ্বালানি মন্ত্রী পর্যায়ের তৃতীয় সভায় বিমসটেক গ্রিড ইন্টারকানেকশন, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় বিমসটেক গ্রিড ইন্টারকানেকশন মহাপরিকল্পনা, বিদ্যুৎ সঞ্চালন, বিনিময় ও মূল্য, জ্বালানি সহযোগিতার জন্য পরিকল্পনা, বিমসটেক জ্বালানি কেন্দ্র স্থাপন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচমন্ত্রী ফামফা ভূশাল। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভুটানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব দাশু কারমা শেরি়ং, ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর আর কে সিং, মিয়ানমারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী ইয় অং থান, শ্রীলংকার বিদ্যুৎসচিব ওয়াসানথা পেরেরা, থাইল্যান্ডের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব কুলিত সোমবাতশিরি ও বিমসটেকের মহাসচিব তেঞ্জিন লেকফিল বক্তব্য রাখেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]