বেইজিং আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার যোগ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি কার্যত বিশ্বমঞ্চে ফিরে এলেন।পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর এই প্রথম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি জোটের শীর্ষ নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিলেন পুতিন।চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত গ্রেট হল অব দ্য পিপলে স্থাপিত সম্মেলনের জায়ান্ট স্ক্রিনে গতকাল হাজির হন পুতিন। তিনি তাঁর ভাষণে পশ্চিমাদের আক্রমণ করেন। একটি বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টির জন্য তিনি পশ্চিমাদের দায়ী করেন।পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে স্বার্থপর কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ তুলে রাশিয়াকে সহযোগিতার জন্য ব্রিকস জোটের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান পুতিন।ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। জোটের ১৪তম এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ছাড়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা অংশ নেন।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন পশ্চিমাদের একটি বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তাটি হলো, ইউক্রেনে হামলার জেরে মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া ‘একা’ নয়।ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। অভূতপূর্ব এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় খোদ পুতিনও পড়েছেন।পশ্চিমাদের এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য রাশিয়াকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা। রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া। রাশিয়াকে দুর্বল করে দেওয়া।ইউক্রেনে রুশ হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে চীনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে, বেইজিং ও মস্কোর মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ‘সীমা’ নেই। ব্রিকস জোটভুক্ত প্রতিটি দেশের নেতাই ইউক্রেনে রুশ হামলার ঘটনায় মস্কোর সরাসরি নিন্দা করা এড়িয়ে গেছেন।