বিশ্বজুড়ে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ-মৃত্যু কমেছে, সেইসঙ্গে কমেছে সুস্থতার হারও। মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুক্রবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৬ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৩০৪ জনের। পাশপাশি, এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ লাখ ৪২ হাজার ৪২২ জন।
আগের দিন, বৃহস্পতিবার বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০। ওইদিন এ রোগে মারা গিয়েছিলেন ৮ হাজার ৭ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪০৩ জন।
অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২৬ হাজার ৯৫৪ জন এবং মৃতের সংখ্যাও কমেছে। এছাড়া, এই সময়সীমার মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা কমেছে ৩১ হাজার ৩৮১ জন।
বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও করোনায় নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, এই দিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৬৭২ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৯০ জন।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে সে দেশসমূহ হল- যুক্তরাজ্য (নতুন রোগী ৩৫ হাজার ৫৭৭, মৃত্যু ১২৭), তুরস্ক (নতুন রোগী ২৮ হাজার ৮৭৩, মৃত্যু ২১০), রাশিয়া (নতুন রোগী ২৪ হাজার ৪২২, মৃত্যু ৮৮৭), ভারত (নতুন রোগী ২৩ হাজার ৯১০, মৃত্যু ২৩৩), এবং ব্রাজিল (নতুন রোগী ১৯ হাজার ৪৩৮, মৃত্যু ৬৮০)।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৩ কোটি ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭৫ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ৪৮ লাখ ৫ হাজার ৬২ জন।
এছাড়া, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২১ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৯ জন।
বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনারোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৬৪ জন। আক্রান্ত এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৩ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮৮ হাজার ৫৭১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এ ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]