শোয়েব বলেন, "সন্তান-পরিবার ইত্যাদি মিলিয়ে একটা চাপ তো থাকেই। দায়িত্ব যত বাড়ে, চাপও তত বাড়ে। ক্রিকেটারদের ১৪-১৫ বছরের ক্যারিয়ার প্ল্যান থাকা উচিত এবং এর মধ্যে ৫-৬ বছর আপনি থাকবেন সাফল্যের একদম চূড়ায়। বিরাট কোহলির সেসব দিন গেছে, এখন তাকে লড়াই করতে হবে।"
বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে ক্রীড়া জগতে এখনও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে কোহলিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। ক্রিকেটের এই জীবিত কিংবদন্তী মনে করেন, বিয়ের কারণে কোহলির উপর চাপ তৈরি হয়েছে এবং সেটি তার খেলায় প্রভাব ফেলেছে। তিনি এও বলেছেন, কোহলির জায়গায় থাকলে তিনি কখনোই এত আগেভাগে বিয়ে করতেন না।
ওডিআই-এর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই কোহলির টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছাড়া প্রসঙ্গে দৈনিক জাগরণ'কে শোয়েব বলেন, তিনি কখনোই ৩৩ বছর বয়সী কোনো ক্রিকেটারের ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টি পছন্দ করেননি। তিনি শুধু চেয়েছিলেন, কোহলি তার ব্যাটিং এর দিকে ফোকাস রাখুক এবং বেশি বেশি রান করুক।
বর্তমানে লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে অংশ নিতে ওমানে আছেন শোয়েব আখতার। তিনি বলেন, "বিরাট মোটেই নেতৃত্ব ছাড়েনি। বরং ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সময়টা মোটেই ওর জন্য ভাল যাচ্ছে না। তবে ওকে প্রমাণ করতে হবে, ও কী করার সামর্থ্য রাখে। দেখাতে হবে ও কিসের তৈরি? লোহা নাকি স্টিল?।"
পাকিস্তানি এই লিজেন্ড আরও মনে করেন, কোহলির উচিত ছিল ১০-১২ বছর শুধু রানের পাহাড় গড়তে থাকা, বিয়ে নয়। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মাকে বিয়ে করেন বিরাট কোহলি।
"কোহলির জায়গায় আমি থাকলে বিয়ে করতাম না। আমি স্রেফ রান করেই আনন্দ করতাম ম্যাচের পর ম্যাচ। কারণ এই ১০-১২ বছর জীবনে আর ফিরে আসবে না। বিয়ে করা যে ভুল, সেটা মোটেই বলছি না। তবে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলার সময় টিমকেই সবসময় প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কোহলিকে সমর্থকরা তুমুল ভালবাসে। টানা ১০-২০ বছর যাতে সমর্থকদের ভালবাসা ও পেতে পারে, সেটাই নিশ্চিত করা উচিত ছিল তার", জানিয়েছেন শোয়েব।
বিয়ের চাপ একজন খেলোয়াড়ের পেশাদা্রি জীবনে প্রভাব ফেলে কিনা জানতে চাইলে শোয়েবের উত্তর ছিল 'হ্যাঁ, অবশ্যই!'
আরও ব্যাখ্যা করে শোয়েব বলেন, "সন্তান-পরিবার ইত্যাদি মিলিয়ে একটা চাপ তো থাকেই। দায়িত্ব যত বাড়ে, চাপও তত বাড়ে। ক্রিকেটারদের ১৪-১৫ বছরের ক্যারিয়ার প্ল্যান থাকা উচিত এবং এর মধ্যে ৫-৬ বছর আপনি থাকবেন সাফল্যের একদম চূড়ায়। বিরাট কোহলির সেসব দিন গেছে, এখন তাকে লড়াই করতে হবে।"
পাকিস্তানি এই সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, কেউ যদি দলের অধিনায়ক হয় তাহলে অধিনায়ক্ত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরেই তার বিয়ে করা উচিত।
"একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে অনেক কিছু ভাবতে হবে। আমি বিয়ের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে খেলার সময় অন্য কোনো চাপ থাকা উচিত নয়, বরং দুর্দান্ত খেলা উচিত।আমি ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পরেই বিয়ে করেছিলাম। অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে মিডিয়া, ব্র্যান্ড ইত্যাদি অনেককিছুর মুখোমুখি হতে হয়।"
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]