তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন দেশকে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলতে ডিজিটাল ন্যানো লোন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সফট্ওয়্যার শিল্পে বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিজেদের সক্ষমতা জনান দিতে উন্মুক্ত জাতীয়্ “আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স” (এআই) প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে সিটি ব্যাংক এবং বিকাশের যৌথে উদ্যোগে ডিজিটাল ঋণ সেবা কার্যক্রম “ডিজিটাল ন্যানো লোন” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোঃ নাছের, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।
পলক বলেন ইতোমধ্যেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বিগডাটা, রোবটিকস্, মেশিন লার্নিং এগুলো প্রয়োগ করছি। আমরা ওপেন এআই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিকাশসহ ব্যাংকিং ও অন্যান্য সার্ভিস সেক্টরকে এর মাধ্যমে সহায়তা করতে চায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন করোনা মহামারিতে যখন বিশ্বের অনেক উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক রাষ্ট্রগুলো তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বাণিজ্যিক, প্রশাসনিক এবং বিচারিক কার্যক্রম চলমান রাখতে বাধাগ্রস্ত হয়েছে অথচ বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিচারিক কাজসহ সবকিছু সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। বিগত ২১ মাসে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা, সততা ও দূরদর্শিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের ১৭ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন এমন একটা সময়ে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি যখন বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল মধ্যম আয়ের ডিজিটাল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পরে প্রতিমন্ত্রী “ডিজিটাল ন্যানো লোন” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।