জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গিয়েছে, ধানের চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত কৃষক ও শ্রমিকরা মাঠেই খাচ্ছেন দুপরের খাবার। এ দিকে কেউ জমির আইলে কোদাল পাড়া কিংবা জমিতে জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউ বা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন খেতে। দেখে মনে হবে জমিতে চারা রোপণের প্রতিযোগীতায় নেমেছে কৃষকরা।
জেলার সদর উপজেলার হারিয়াগাচি গ্রামের কৃষক সোহেল রানা বলেন, আমি এবছর প্রায় ২০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করবো। এরই মধ্যে ১২ বিঘা জমিতে চারা রোপণ কাজ শেষ করেছি। সার, শ্রমিক,তেলসহ সব কিছুর দাম বাড়ায় প্রতি বিঘা জমিতে এবার খরচ হচ্ছে প্রায় ১০-১২ হ্জার টাকা। এবছর প্রতি বিঘা জমিতে ৩০-৩৫ মন ধান পাবো বলে আশা করছি।
একই গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, গত বছর আবহাওয়া ভালো না থাকায় খুব একটা ভালো ফলন পায়নি। তবে এইবার যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে গত বারের থেকে অনেক ভালো ফলন পাবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। আমাদের জেলায় সাধারণত ব্রিধান-৮৯, ৯২, ১০০সহ জিরা ও কাটারি জাতের ধান চাষ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমেও ধানের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। এছাড়াও নতুন জাতের ধান লাগানোর পদ্ধতি ও সুষম সার ব্যবহারে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষনিক সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।