বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সভার দক্ষিন শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা মদিনা বেগম তার বসত বাড়ির তিনতলা ভবনের দ্বিতীয়তলার একটি ইউনিট, তার নিজ কক্ষ জোর করে দখল করে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিতে শুক্রবার
১৩ নভেম্বর সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন। বোয়ালমারী চৌরাস্তায় উপজেলা ক্যাবের কার্যালয় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মদিনা বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী ফারুক মৃধা দীর্ঘদিন ইটালিতে থাকেন। তার স্বজনদের নিয়ে আমার স্বামীর মালিকানাধীন একটি তিনতলা ভবনে বসবাস করি। ভবনের একাধিক ফ্লাটে ভাড়াটিয়াদের বসবাস রয়েছে। বাসা ভাড়া ও ভাড়ার টাকা নিয়মিত আদায় করে থাকি।
গত তিন মাস আগে অপরিচিত গুনবহা ইউনিয়নের রেনিনগর গ্রামের বাসিন্দা মানিক শেখের স্ত্রী আলেয়া বেগম দ্বিতীয়তলার একটি ইউনিট তালা ভেঙ্গে দখল করে এবং তার মেয়ে সাথি আক্তারসহ বসবাস করতে শুরু করে। এ সময় বিষয়টি সকল প্রতিবেশিদের জানায় এবং তাদের সাথে আমার ব্যাপক তিক্ততা হয়। এরই মধ্যে আমি আমার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে আলেয়া বেগম আমার ফোনে ফোন দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং ফ্লাটে আসতে নিষেধ করে। ফ্লাটে আসলে আমাকে মেরে গুম করে ফেলবে বলে। গত ১০ নভেম্বর ফ্লাটে ফিরে দেখি আলেয়া ও তার মেয়ে সাথি তিনতলায় আমার নিজ কক্ষে তালা দিয়ে রেখেছে। আমি তালা ভাংতে গেলে আমাকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া ও গুম করার হুমকি দেয়।
এ ঘটনা আমার স্বামীকে বললে তিনি আইনের আশ্রায় নিতে বলেন। আমি গত ১০ নভেম্বর বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেননি। ফলে আমি চরম হতাশা ও আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।