আকতার হোসেন (রবিন), কুমিল্লা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
কুমিল্লা-৫ (ব্রাক্ষণপাড়া-বুড়িচং) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর সিআইপি। দল থেকে মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচিত হলে তিনি ব্রাহ্মণপাড়া এবং বুড়িচং এলাকায় অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান।নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে জানতে চাইলে হেলেনা জাহাঙ্গীর সিআইপি বলেন, তিনি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। তারপরও নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে তাঁর সুনির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, যেহেতু তার কয়েকটি রফতানিমূখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে ব্রাক্ষণপাড়া ও বুড়িচং দুই এলাকার শিক্ষিত বেকাররা যোগ্যতানুযায়ী নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকার শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকারদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদের কর্মমুখী করে তুলবেন।কুমিল্লা-৫ (ব্রাক্ষণপাড়া-বুড়িচং) আসনটি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে মাদকের প্রসার রোধ করা যাচ্ছে না। সাবেক আইনমন্ত্রী ও এই এলাকার জনপ্রিয় সাবেক এমপি প্রয়াত এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকা সত্বেও মাদক নির্মুলে সফলতা আসেনি। হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ইনশাহ আল্লাহ আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকার মাদকের ব্যবসা বন্ধসহ মাদকব্যবহারীকারী যুব সমাজকে সুপথে ফিরিয়ে আনার জান্য যথেষ্ঠ চেষ্ঠা চালিয়ে যাব। কারন যুবকরাই আমাদের ভবিষ্যত। তাই তাদেরকে সুপথে পরিচালিত করতে পারলে সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে। হেলেনা জাহাঙ্গীর সিআইপি এলাকার নারীদের কল্যানে বিভিন্ন জনবান্ধব কর্মসূচি নেয়ারও অঙ্গীকার করেন।তিনি বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী ও এই এলাকার জনপ্রিয় সাবেক এমপি প্রয়াত এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু সাহেবের একটি অন্যতম পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা ছিল এই এলাকায় দু’টি পৌরসভা করার, তাই নির্বাচিত হলে যথাসাধ্য চেষ্ঠা করে এই এলাকার উন্নয়নে দু’টি পৌরসভা করব। তাছাড়া খসরু সাহেবের যেসব পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা অসমাপ্ত রয়েছে তা বাস্তবায়ন করাও আমার নির্বাচনী ওয়াদা হিসেবে থাকবে।হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, আমি বুড়িচং থানার স্কুল প্রতিষ্ঠার সাথে প্রথম থেকেই সম্পৃক্ত। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রেস সহ শিক্ষা উপকরণ প্রদান করে আসছি। এছাড়া এলাকার অসহায় গরিবদের মাঝে বৃদ্ধ ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি। এই স্কুলকে কলেজ পর্যায়ে রূপান্তর করা সহ অন্যান্য স্কুল সমুহকে এমপিওভূক্ত করাই হবে আমার অন্যতম লক্ষ্য।নির্বাচনী এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন সহ যাবতীয় সমস্যা সমাধানে যথাসাধ্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নে মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দ আনার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব। কারন আমি সবসময় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা পছন্দ করি। নির্বাচিত হলে আমি ব্রাক্ষণপাড়া-বুড়িচংকে কুমিল্লার মধ্যে শ্রেষ্ঠ এলাকা হিসেবে পরিনত করব ইনশাহআল্লাহ।উল্লেখ্য হেলেনা জাহাঙ্গীর সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যানে, মানবতার সেবায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত জযযাত্রা ফাউন্ডেশন এর সেবা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি কুমিল্লার মানুষকে অন্তর থেকে ভালবাসেন, যার জন্য তিনি এমপি পদে প্রার্থী হয়ে জনগনের কাছে তার সেবার হাতকে আরও বেশি প্রসারিত করতে চান। জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের শাখা এখন সারা বাংলাদেশ সহ বিশ্ব পরিমন্ডলে বিস্তৃত। প্রবাসীদের মধ্যে কুমিল্লার লোক সংখ্যা অনেক। প্রবাসেও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন।কথা প্রসঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গির বলেন, কুমিল্লার প্রবাসী মানুষসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের প্রবাসীদের সুখ-দুখের কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে তিনি জয়যাত্রা টেলিভিশন চালু করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রবাসীদের অনেক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন এবং এক্ষেত্রে অনেক সফলতার গল্পও রয়েছে।হেলেনা জাহাঙ্গীর মানবতার কল্যানে কাজ করেন বলে তিনি সিস্টার হেলেন হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন। লায়ন্স, রোটারী, জান্টা ক্লাবসহ নারীদের কল্যানের প্রায় সকল সংগঠনের সাথই তিনি জড়িত আছেন। তিনি ব্যবসাযীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ে রেকর্ড পরিমান ভোট পেয়ে ব্যবসায়ীদের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে তাঁর দৈনন্দিন বেশিরভাগ সময়ই তিনি নানান সংগঠনের কাজে নিয়োজিত থাকেন, যার মূল ব্রত মানবকল্যাণ।এতসব কাজের মাঝেও কেন তিনি দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন, প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতারোহনের পর থেকেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, অগ্রগতি হচ্ছে আর এই উন্নয়ন অগ্রগতির সহযোদ্ধা হিসেবে সরাসরি কাজ করার অন্যতম মাধ্যম হল সংসদ সদস্য পদ লাভ করা। উন্নয়ন-আইন প্রণয়নের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে ও এলাকার মানুষের চাহিদা পূরনে সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ আনতে জনপ্রতিনিধি হওয়া আবশ্যক। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি কুমিল্লা-৫ (ব্রাক্ষণপাড়া-বুড়িচং) এর মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। তিনি মনোনয়ন লাভ করবেন বলে আশা করছেন। হেলেনা জাহাঙ্গীর আগামীর পথ চলায় কুমিল্লা-৫ (ব্রাক্ষণপাড়া-বুড়িচং) এলাকার সর্বস্তরের জনগনের দোয়া প্রত্যাশী।