আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মে থেকে জুলাই, এই তিন মাসে ব্রিটেনে কর্মহীন তরুণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর থেকে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনে হিসাব দিয়ে বলা হচ্ছে, বেকার এসব তরুণের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ১৬ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে; যা অন্য বয়সভুক্ত গোষ্ঠীগুলোর চেয়ে অনেক বেশি।
বিবিসির মঙ্গলবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একই সময়ে যুক্তরাজ্যজুড়ে মোট কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে; যা এর আগের ৩ দশমিক ৯ শতাংশের তুলনায় বেশি। এদিকে করোনাকালে শুরু সরকারি প্রণোদনার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগে প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, মার্চ থেকে বিভিন্ন ব্রিটিশ কোম্পানির পে-রোলের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন দেশটির ৬ লাখ ৯৫ হাজার কর্মী। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর ওই সময় দেশজুড়ে লকডাউন শুরুর পর সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারি সহায়তায় প্রণোদনার অর্থ দিয়ে কর্মীদের পে-রোলে পাঠায় এসব কোম্পানি।
মহামারিকালে চাকরি বাঁচাতে ব্রিটিশ সরকারের নেয়া আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত উদ্যোগের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে শেষ হবে। তবে জুলাই থেকে দেশটির জিডিপিার আকার বাড়তে শুরু করায় এ নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা কমেছে। ব্রিটিশ পরিসংখ্যান দফতর সম্প্রতি জানায়, টানা গত তিনমাস জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ব্রিটিশ পরিসংখ্যান দফতরের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যা বিভাগের পরিচালক, ড্যারেন মরগান বলেন, ‘আগস্ট থেকে অনেক কর্মী পে-রোল তালিকা থেকে বাদ পড়তে শুরু করে। এ ছাড়া জুলাইয়েও বেকার ও কর্মহীন মানুষের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এতে বোঝা বৈশ্বিক চাকরির বাজারে করোনার মারাত্মক প্রভাব এখনও রয়েছে।
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ‘এই মহামারি মানুষের চাকরি ও জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে চলেছে বলেই অনেককে একটি কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। এ জন্যই চাকরি রক্ষা করা এবং মানুষকে কাজে ফিরিয়ে আনাই সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে।’
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]