নূর মোহাম্মদ সুমন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামে গোদার বাজার হতে আদাবাড়ি গ্রামীণ সড়কে কালভার্ট ভেঙে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চার গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের মানুষ। ২ বছর ধরে কালভার্টটি ভেঙে পড়ে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। বিশেষ করে কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা-নেওয়া ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোদার বাজার হতে উত্তর আকাশ কুড়ি যাওয়া গ্রামীণ সড়কের আতিয়ার রহমানের বাড়ির পাশের কালভার্টটি ভাঙা। ভাঙা অংশে নেই কোন ধরণের সতর্কতা সংকেত, রাখা হয়েছে খোলামেলা। আর সেখান দিয়ে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলছেন পন্যবাহী অটোভ্যান, সাইকেল, শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, ২০০২ সালে আকাশের ভারী বৃষ্টি ও বন্যার পানি নিস্কাশনের জন্য এই স্থানে প্রথমে রিং পাইপ দিয়ে কালভার্ট আকারের ছোট ব্রীজ নির্মাণ করেন গ্রামবাসী। পরে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মমতাজুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি কালভার্ট নির্মাণ করে দেন। কিন্তু প্রায় ২ বছর ধরে এটি ভেঙে গেলেও দেখার যেন কেউ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস আলী বলেন, গোদার বাজার হতে আদাবাড়ি এই কাচা সড়ক দিয়ে প্রায় চার/ পাঁচ গ্রামের জনগণ জেলা ও উপজেলায় চলাচল করে। এছাড়া আকাশকুড়ি মুন্সি পাড়া দাখিল মাদরাসা, ১টি এতিমখানা ও ২টি হাফেজিয়া মাদরাসাসহ আকাশকুড়ি মুন্সি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এয়াছিন আলী বলেন, ভাঙা কালভার্টে এলাকার মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ভাঙা কালভার্টের বিষয়টি আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।
নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশিক ইমতিয়াজ মোরশেদ মনি বলেন, শুনেছি কালভার্টটি ভেঙে গিয়ে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আমি দেখার জন্য সেখানে লোক পাঠিয়েছি, দেখার পরে প্রয়োজনীয কাগজপত্র পাঠিয়ে দিব। এছাড়াও তিনি ইউনিয়নের গ্রামীণ এলাকায় এই ধরনের ভেঙে পড়া কালভার্টগুলো সংস্কারের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিবেন বলে জানান।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]