1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন

ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাদের জন্য বেনাপোলবাসী ঝুঁকিতে

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৮ মে, ২০২১
পলাশ মাহমুদ, বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমনিঃ
 বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় করোনার নতুন ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বন্দরটি দিয়ে বছরে এক লাখ টন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ অংশে পণ্য প্রবেশ দ্বারে ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে ও ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াই অনভিজ্ঞ আনসার সদস্য দিয়ে চলছে এসব ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের তেমন তদারকি না থাকায় সমাজিক দূরত্বের বালাই নেই বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা এসব ট্রাকচালক ও তাদের সহযোগীদের।স্থানীয়রা বলছেন, ভারত থেকে যেসব ট্রাক চালকেরা বন্দরে আসছেন তারা ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই তারা চলাফেরা করছেন। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে খুব দ্রুত সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।বেনাপোল বন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কারো মধ্যে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। বন্দর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় অবাধে মাস্ক-পিপি ছাড়া চলাফেরা করছেন ভারত ও বাংলাদেশি ট্রাক চালকেরা। অনেকের কাছে মাস্ক বা পিপি থাকলেও তা ঠিকমতো ব্যবহার করছেন না। কারো মুখে মাস্ক থাকলেও তা ঝুলছে থুতনিতে। আবার কারো কাছে পিপি থাকলে তা রয়েছে গাড়িতে। এমনকি বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরাও অনেকে দায়িত্ব পালন করছেন মাস্ক ছাড়া।
বন্দর এলাকায় বসবাসকারীরা জানান, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকরা আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসছেন। তারা পিপিই-মাস্ক পরে বেনাপোল বন্দরে আসলেও বন্দরে ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে পৌঁছানোর পর পিপিই ও মাস্ক খুলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যত্রতত্রভাবে বন্দর এলাকায় ঘুরে বেরাচ্ছেন। এতে করে এসব ট্রাক চালকদের মাধ্যমে ভারতে করোনার নতুন ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের।বেনাপোল বন্দর সূত্র জানায়, ভারতে করোনার নতুন সংক্রমণে মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে সরকার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ করে দিলেও দেশের শিল্প-কলকারখানাগুলোতে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে বেনাপোল বন্দর লকডাউনের আওতামুক্ত রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু রাখে। এতে স্বাভাবিকভাবে রেল ও স্থলপথে বেনাপোল-পেট্রাপোল দুই দেশের মধ্যে চলছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। বন্দরে বাণিজ্য সম্পাদনায় কাজ করছেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকসহ প্রায় ২০ হাজার কর্মজীবী মানুষ। তবে বন্দরটিতে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে চলেছে।বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, আগে করোনা সংক্রমণ রোধে রেলস্টেশনে বন্দরের পক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কাজ করতেন। এখন আর কেউ আসেন না। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে রেলে পণ্য আসছে। নিরাপত্তার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা সচল রাখা জরুরি।বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকেরা বেনাপোল বন্দরে আসছেন, আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও পণ্য নিয়ে ট্রাক চালকেরা ভারতে যাচ্ছে, তাই এসব ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা না বাড়ালে এদের মাধ্যমে ভারতের করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়তে পারে।জানতে চাইলে বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, আগে বন্দরে প্রতিরোধ ব্যবস্থাসহ সবকিছুই ছিল। তবে জনবল সংকটে এখন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে এসব ট্রাকচালক ও বন্দরের শ্রমিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সব প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদেরকে অবহিত করলে সব ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Facebook Comments
১ view

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি