মোঃপলাশ মাহমুদ বেনাপোল-
যশোরের শার্শা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারিরা অবৈধ পথে অগ্নিঅস্ত্র এনে দেশের ভেতর বাজারে বিক্রি করছে একটি চক্র। ভারত থেকে কম দামে অস্ত্র ক্রয় করে বেশী চড়া দামে বিক্রিয় করছে। এসব অস্ত্রের কয়েকটি চালান এপর্যন্ত কিছু পরিমাণ, গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব উদ্ধার করে থাকে ।এই চক্রের এক সদস্য বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের হাফিজুর। তাকে সহায্য করতো হাবিবুর রহমান মেম্বার ও জিল্লুর রহমান, নামে দুই অস্ত্র ব্যাবসায়ী। ভারত থেকে চোরাই পথে অস্ত্রের চালান এনে বাংলাদেশে পৌছানো কাজে সহযোগীতা করেন জাহাঙ্গীর নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ী।
গত বছর (৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে পুটখলী গ্রামের অস্ত্র ব্যবসায়ী হাফিজুরকে ঢাকা মিরপুর কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সামনে থেকে অস্ত্র সহ আটক করে। এসময় তার নিকট থেকে ৪ টি পিস্তল সহ ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।হাফিজুর গোয়েন্দা পুলিশকে জানায় অস্ত্রের চালানটি ভারত থেকে পুটখালী ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ও জিল্লুর রহমানের সহযোগিতায় ভারত থেকে দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রিয় করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত(৩০ অক্টোবর২০) হাবিবুর রহমান মেম্বার এর বাড়ি থেকে যশোর র্যাব ৯ টি পিস্তল সহ ৪৯ রাউন্ড গুলি ও ১৯ টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান মেম্বরের পরিবার থেকে সাজানো নাটক বলে উল্লেখ করে যশোর সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে তারা পুটখালী গ্রামের নাসির নামে একজনকে দোষারপ অভিযোগ করে।তবে ওই ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে বলেছে হিংসা পরায়ন ও মানসম্মান হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক এক ব্যক্তি বলেন, ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার আংরাঈল সীমান্তবর্তী গ্রাম ও বাংলাদেশের পুটখালী গ্রামের নদীর তীরে গোসল করার কৌশলে অস্ত্র এদেশে সীমান্তে নিয়ে আসে। সুযোগ বুঝে তারা প্রয়োজন অনুযায়ী ওই অস্ত্র সীমান্তের গোপন স্থান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে দেয়। এ সমস্ত অস্ত্র ভারতের বিহার প্রদেশ থেকে আসে বলেও সুত্রটি দাবি করে।
এবিষয়ে নাভারন সার্কেল এ এস পি জুয়েল ইমরান জানান, দেশের অভ্যন্তরে কোনভাবেই যাতে পাচারকারীরা অস্ত্র গোলাবারুদ প্রবেশ না করাতে পারে সেদিকে পুলিশ বিশেষ ভাবে নজর রেখেছে এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল সেলিম রেজা জানান,অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য পাচারকারীরা ভারত থেকে বিভিন্ন কৌশল করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের ভেতর প্রবেশ করতে না পারে বিজিবি সর্বসময় কঠোর নজরদারির করে থাকে।বর্তমানে অস্ত্র মাদক জিরো টলারেন্স করার জন্য বিজিবি সার্বঙ্গিক ভাবে প্রস্তুত আছে।গোয়েন্দা কার্যক্রম নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি গত৫ সেপ্টেম্বর বেনাপোলের ঘীবা সীমান্ত থেকে১১ টি পিস্তল ৫০রাউন্ড গুলি ও২২ ম্যাগাজিন সহ দুইজনকে আটক করেছিল বিজিবি। এছাড়া এসব অস্ত্রের চালান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে পাচার হচ্ছে বলে সচেতন মহল ধারনা করছে।তারা প্রশাসনকে আরো কঠোর ভাবে সচেতন ও নজরদারির বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]