ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহান,মহেশখালী: গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করা অপরাধে মহেশখালীর ২৭ সহ ৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে কে আটক করেছে ভারতীয় কোষ্টগার্ড বাহিনী।
সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে সাগরে কুয়াশার কারণে বাংলাদেশের ৩টি মাছ ধরার ফিশিং বোট ৮৮ জন মৎস্য আহরণকারী জেলে সহ ১৫ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) ভারত-বাংলাদেশ জলসীমার ৩৫ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করে।
এসময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর জাহাজ ঝাউখালিতে টহলের সময় বাংলাদেশের ৩টি ট্রলারকে আটক করে। পরে ফিশিং ট্রলার ও জেলেদের কলকাতার ফ্রেজারগঞ্জ কোষ্টগার্ড ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক ৮৮ জনের মধ্যে ৫ জন শিশু রয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারী আটককৃতদের ভারতের কাকদ্বীপ আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত ৫ শিশুকে হোমে ও ৮৩জন জেলেকে জলসীমা অতিক্রম সংশ্লিষ্ট আইনে ১৪ দিনের সাজা প্রদান করে। বর্তমানে তারা কার্তিক মহুকুমা জেলখানায় রয়েছে।
এদিকে ভারতে আটক হওয়া ৮৮ জন জেলের মধ্যে একটি ফিশিং ট্রলার কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামের রশিদ মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলামের মালিকানাধীন এফবি শাহ-আমানত ভারতীয় গনমাধ্যমে এফবি ফাতেমা নামে উল্লেখ করে।যাহার রেজিঃ নং-৬৩২৩, বিগত ১০ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় ঘটিভাঙ্গা ঘাট থেকে মাছ ধরার উদেশ্যে সাগরে রওনা হয়।ভারতের অমল কান্তি নামের এক গণমাধ্যমকর্মী ০০৯১৯১২৬৪৮৪৩৪০ নাম্বার থেকে ট্রলার মালিককে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ভারতে আটক মহেশখালীর ২৭ জেলেরা হলেনঃ পেঠান আলী-মাঝি (৩৭) পিতা-আব্দু জলিল, খোরশেদ আলম (৪৪) পিতা-পেঠান আলী, গিয়াস উদ্দিন (৪০) পিতা- কবির আহমদ, হেলাল উদ্দিন (৪২) পিতা-গোলাম সুলতান, সফিউল আলম(৩৪) পিতা-লাল মোহাম্মদ, ফরিদ আলম (৪৫) পিতা-মৃত আছু মিয়া, রবিউল আলম(৩৫) পিতা-আম্মাত আলী, মোঃ শওকত উদ্দিন (৩০) পিতা-লিয়াকত আলী, গোলাম সোলতান প্রকাশ মোস্তাক(৪৩) পিতা-মৃত কবির আহমদ, আব্দু শুক্কুর প্রকাশ (দানু) (৩৮) পিতা-ওমর সোলতান, মোঃ ইব্রাহিম (২৮) পিতা- আব্দুল জলিল, মোঃ রুবেল(২৬) পিতা- মৃত হোছন আলী, আব্দুল মজিদ (২৫) পিতা- গোলাম ছোবহান, নুরুল কবির(৩৫) পিতা-আবুল কালাম, আব্দুল মজিদ (২৭) পিতা-সেকান্দর, কবির হোসেন (৩৩) পিতা- ছৈয়দ নুর, আব্দুল গফুর (৩২) পিতা-মোঃ শরীফ, আব্দু রহমান (৫০) পিতা- মিয়া হোসেন, আব্দুল করিম (২৭) পিতা- জকরিয়া আহমদ, রবি আলম (৩১) পিতা-দিল মোহাম্মদ, হামিদ হোসেন (৩৫) পিতা-ছালেহ আহমদ, শাহেদ মিয়া (১৮) পিতা-আব্দু শুক্কুর, জিহাদ প্রকাশ জাহেদ (২১), পিতা- আবুল হোসেন,আব্দু ছফুর (২৩) পিতা-আবুল বশর, মোহাম্মদ জোবাইর (২৮) পিতা-মৃত আব্দু ছফুর, শফি আলম(৩২) পিতা- নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ কালু (৩৫) পিতা-ইসমাইল।
সকলের বাড়ি কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামে।
এ বিষয়ে ফিশিং ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম মহেশখালী থানায় একটি লিখিত অবহিত পত্র ও আইনানুগ সহয়তার আবেদন করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক আটক হওয়া জেলেদের দেশে ফিরিয়ে সবধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা সহ সার্বিক সহযোগিতার ব্যবস্হা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।