ভারতের বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এখনো অবিচল আছে কৃষক সংগঠনের নেতারা। এই দাবির কথা তারা ১১তম বৈঠকে যোগ দিয়েই পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা একথাও জানিয়েছেন যে, ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে তাদের ট্রাক্টর সমাবেশ কর্মসূচি হবেই। তবে, সরকারি অনুষ্ঠান কোনভাবেই বাধাগ্রস্থ হবে না সমাবেশের কারণে।
দুদিন আগে অনুষ্ঠিত দশম দফার বৈঠকে ভারতের কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার এক–দেড় বছরের জন্য নতুন তিন কৃষি আইন বলবৎ না করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই সময়ের মধ্যে কৃষক সংগঠন ও সরকার মিলে একটি কমিটি গঠন করে তিন আইনের খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনবে।
সুপ্রিম কোর্টকেও আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার তা জানাতে রাজি। সর্বোচ্চ আদালত আগেই আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতেই কৃষক সংগঠন সরকারের ওই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। গতকাল তা সরকারকে জানিয়েও দেওয়া হয়। কৃষিমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, আইনে কোনো গোলমাল নেই। তবু তা স্থগিত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কৃষকদের সম্মানেই।
কৃষকেরা রাজি থাকলে স্থগিত রাখা নিয়ে পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। তবে পরবর্তী বৈঠকের দিন ঠিক হয়নি।
সরকারি প্রস্তাব অবশ্য কৃষক সংগঠনকে বিভক্ত করে দিয়েছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বেশ কিছু সংগঠনের নেতারা মনে করেন, সরকারের এই প্রস্তাব কৃষকদের গ্রহণ করা উচিত। তবে অধিকাংশ সংগঠন তা খারিজ করে দেয়। তারা আইন বাতিলের পক্ষে।
সরকার এই মুহূর্তে বেশি চিন্তিত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্রাক্টর সমাবেশ নিয়ে। সুপ্রিম কোর্ট ওই মিছিল বন্ধে হস্তক্ষেপে রাজি নন। প্রধান বিচারপতি তা স্পষ্ট জানিয়ে বলেছেন, দিল্লি পুলিশকেই ঠিক করতে হবে, তারা অনুমতি দেবে কি না।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ট্রাক্টর নিয়ে রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে আসবেন না। মিছিল করবেন দিল্লিকে ঘিরে থাকা আউটার রিং রোডে। তা ছাড়া কোনোভাবেই সরকারি প্যারেড অনুষ্ঠান বানচাল করা হবে না।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]