ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের ৪০০ জনেরও বেশি নাগরিক সীমান্ত পার হয়ে প্রতিবেশী ভারতে প্রবেশ করেছে, জানিয়েছেন ভারতীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে বহু পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, জান্তা সরকার প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি চালানোর যে আদেশ দিয়েছে, সেটি মানতে অস্বীকার করায় তারা নির্যাতনের স্বীকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন। আর এমন আশঙ্কা থেকে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ভারতের মিজোরাম রাজ্যের একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, শুধু গত শুক্রবারই মিয়ানমার থেকে ১১৬ জনের মতো সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। তবে বিষয়টির সংবেদনশীলতা বিবেচনায় ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশে রাজি হননি।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এসব অনুপ্রবেশ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। তবে পাহাড়ি এলাকায় অনুপ্রবেশ বন্ধে নজরদারি খুব সহজ নয়। এছাড়া প্রত্যন্ত সীমান্তের উভয় পাশে মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ জাতিগত ও সাংস্কৃতিকভাবেও সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে অব্যাহত বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে। গত ১৪ মার্চ ছিল সেনা অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। এদিন দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে সরকারি বাহিনী গুলি চালালে ৫০ জনের মতো নিহত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে।
সেনাবাহিনী সারা দেশজুড়ে আরও নতুন নতুন এলাকায় কঠোরভাবে সামরিক আইন আরোপ করতে শুরু করেছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি কোথায় রয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। তাকে অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজিরের কথা থাকলেও পরে ভার্চুয়াল শুনানি মুলতবি করা হয়।