এর আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর আইনি নোটিশ দেন ওই আইনজীবী। সরকারের চার সচিব ও তিনটি সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠানো হয়।
তবে নোটিশের জবাব না পেয়ে আজ মঙ্গলবার রিটটি করা হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আগামী সপ্তাহে শুনানির জন্য রিটটি হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে। পর্যটন করপোরেশনকে ইলিশকেন্দ্রিক পর্যটনের বিকাশে কাজ করতে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটে ভারতে কম দামে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। ভারতসহ অন্যান্য দেশে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
রিটে বাণিজ্যসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্রসচিব, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, ইলিশ দেশের জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বেও অত্যধিক দামের কারণে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষেরা এ মাছ কেনার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। অন্যদিকে দেশের মধ্যবিত্ত মানুষেরাও এ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দরিদ্র কৃষকেরা দুই মণ ধান বিক্রি করেও এক কেজি ইলিশ মাছ কিনতে পারছেন না। ইলিশের দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে। অথচ বাংলাদেশের এ মাছ ভারতে মাত্র ১০ ডলার (প্রায় ৯৫০ টাকা) কেজি দরে রপ্তানি হচ্ছে, অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২০২১-২৪ সালের রপ্তানি নীতি অনুযায়ী ইলিশ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য পণ্য নয়।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]