ভারতে ১৯.৪ শতাংশ পরিবারের কোনও টয়লেট সুবিধা নেই। এর অর্থ হলো- তারা খোলা ও নোংরা জায়গায় মলত্যাগ করে। শহরাঞ্চলের মোট পরিবারের ৬.১ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলের মোট পরিবারের ২৫.৯ শতাংশের টয়লেট নেই।
ভারতে টয়লেট সুবিধা সবচেয়ে কম বিহারে (৬১.২ শতাংশ), এছাড়া ঝাড়খণ্ডে (৬৯.৬ শতাংশ, এবং ওড়িশায় (৭১.৩ শতাংশ)। অপরদিকে দেশটির শুধু লাক্ষাদ্বীপে শতভাগ টয়লেট সুবিধা রয়েছে। এছাড়া মিজোরামে ৯৯.৯ শতাংশ, কেরালায় ৯৯.৮ শতাংশ পরিবারে টয়লেট সুবিধা রয়েছে।
২০২২ সালের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, গত ৭ বছরে এই সংখ্যা ৩৯ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
এনএফএইচএস অনুসারে, ভারতের ৬৯.৩ শতাংশ পরিবারে উন্নত টয়লেট সুবিধা রয়েছে। এছাড়া ৮.৪ শতাংশ পরিবার ভাগাভাগি করে টয়লেট ব্যবহার করে। এছাড়া ২.৯ শতাংশ পরিবার পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে।
দেশটিতে শহরে থাকা ৮০.৭ শতাংশ পরিবারের উন্নত টয়লেট সুবিধা রয়েছে। এই পরিমাণ গ্রামাঞ্চলে ৬৩.৬ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে গ্রামীণ ভারতকে উন্মুক্ত মলত্যাগ মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করেন। তার সময়সীমা ছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত।
ভারতে যে ৫টি রাজ্যে টয়লেট সুবিধা সবচেয়ে কম রয়েছে সেগুলো হলো- বিহার (৬১.৭), ঝাড়খণ্ডে (৬৯.৬), ওড়িশা (৭১.৩), মধ্যপ্রদেশ (৭৬.২) এবং উত্তর প্রদেশ (৭৮.৪)।
ভারতে যে ৫টি রাজ্যে টয়লেট সুবিধা সবচেয়ে বেশি, সেগুলো হলো- লাক্ষাদ্বীপ (১০০), মিজোরাম (৯৯.৯), কেরালা (৯৯.৮), নাগাল্যান্ড ৯৯.৭) এবং লাদাখ ও দিল্লি (৯৯.৪)। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস