ভারতে পর্যবেক্ষকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই ২৭ বছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক থেমে থাকেনি।
এমনকি শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের মাত্র পাঁচদিনের মাথায় ঢাকায় ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সমর সেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে।
পরদিন দু’জনের হাসিমুখে করমর্দনের ছবিও বেরিয়েছিলে ভারতের ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার প্রথম পাতায়।
“পুরো আশির দশকটা জুড়েই জেনারেল এরশাদের সরকারের সঙ্গেও ভারতের কিন্তু রীতিমতো সুসম্পর্ক ছিল”, মনে করিয়ে দিচ্ছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিজেপি নেতা তথা বর্ষীয়ান সাংবাদিক এম জে আকবর।
তিনি বিবিসি বাংলাকে যা বলেছেন, তার মোদ্দা কথাটা হল – ভারতীয় নেতৃত্ব বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরও বহু দলের সঙ্গে বহু বছর ধরে ‘ডিল করেছে’।
সাম্প্রতিক অতীতেও জাতীয় পার্টি, এমনকি সূফী ভাবধারার বহু ইসলামপন্থী দলকেও ভারতে সরকারিভাবে ‘দাওয়াত’ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই সব দলের নেতারা দিল্লিতে এসে ভারতের নেতা-মন্ত্রী, নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকও করে গেছেন।
কিন্তু বিএনপি’র কথাটা একেবারেই আলাদা – বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মেয়াদে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময়কার অভিজ্ঞতার পর থেকে।
দিল্লিতে প্রবীণ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ শান্তনু মুখার্জি ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসেও দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি আমলে ভারতের নিরাপত্তাগত স্বার্থ যেভাবে কম্প্রোমাইজড হয়েছিল তাতে ওই দলটিকে নিয়ে আমাদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও সন্দেহ থাকাটা খুব স্বাভাবিক।” (বিবিসি বাংলা অবলম্বনে)