সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা বরাবরের মত হব। যে পরিমনা শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে তার চাইতে ৭ লাখ বেশী আসন আছে এইচএসসির জন্য। কাজেই এখানে কারো প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এখন প্রশিক্ষিত ও যোগ্য শিক্ষকেরা আছেন। আমি চাই সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশে^র অন্য দেশের মত সব ধরণের মেধাবি শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করবেন। তাহলে পরস্পরের আদান-প্রদানে মেধার উন্নতি ও বিকাশ ঘটবে। আমরা সে জন্যই কাজ করে চলেছি। কি কারণে ৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারলো না, তা খতিয়ে দেখে ভালো ফলাফলের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দীপু মনি বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলাম সেটা বিষয় নয়, আমাদের পড়াশুনা ঠিকমত মনোযোগ দিয়ে করলাম কিনা বাবা-মা যেন সেটা ঠিকভাবে দেখেন। শিক্ষার্থীরা যেন ভুল পথে কিংবা ভিন্ন পথে চলে যা নাই। এই বিষয়ে সমাজেরও দায়িত্ব আছে, আমরা সবাই মিলে যদি সে দায়িত্বটা পালন করি তাহলে এসএসসিতে উত্তীর্ণরা ঠিকমত পড়বে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।
তিনি আরো বলেন, অনেক কষ্টে অর্জিত আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি। দেশের মানুষ শান্তি এবং অগ্রগতি চায়। যারা বিজয়ের মাসে দেশে অরাজকতা করতে চাইলে মানুষ তা প্রতিহত করবে। এটা মানুষ হতে দিবে না।
এ সময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ.ওয়াদুদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধগণ উপস্থিত ছিলেন।