1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুর রহমানসিদ্দিকির ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০

 

মো: শাহ জাহান সিদ্দিক : ভাষা আন্দোলন, আইয়ুব বিরুধি আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন ওমহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিস্মিত প্রায় আওয়ামী রাজনীতিবিদ আব্দুর রহমান সিদ্দিকির আজ ২৭তম মৃত্যুবাষিকী।

আব্দুর রহমান সিদ্দিকির জন্ম ১৯২৮সালে জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানাধিন ছবিলাপুর গ্রামে। বাবার নাম আলহাজ মনির উদ্দিন আহামেদ  মায়ের  নাম  নসিমন  খাতুন। তিনি ১৯৪৬সালে বালিজুরি এফএম উচ্চবিদ্যালয় হতে মেট্রিকুলেশন পাশ করে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে ভর্তিহন। তার বড় ভাই ছিলেন গৌরীপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার, সেই সুবাদে গৌরীপুর এবং ময়মনসিংহ দুজায় গাতেই তিনি প্রগতিশীল রাজনীতি এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন । ১৯৪৮এর সালে  তিনি কলেজে তিনি খাদ্য নীতি বিরুধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে সর্বপ্রথম জেলে যান। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি নেত্রকুনায় আদিবাসীদের সাথে টঙ্ক বিরুধি আন্দোলনে জড়িত হন। এরপর তিনি জামালপুরে ফিরে“ প্রবাহ সাহিত্য মজলিসে” যোগ দিয়ে ভাষা আন্দোলনে জোড়ালো ভুমিকা পালন করেন । ১৯৫২সনের ২২শেফেব্রুয়ারি জামালপুর থেকে সিদ্দিকিসহ আট জন গ্রেপ্তার হন। জেল থেকে বের হয়ে তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাথেওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পরেন । ১৯৫৩সনে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে সিদ্দিকি বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অতিথিদের থাকা খাওয়াসহ দেখভালের দায়িত্ব পালন করেন যা বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইতে উল্লেখ করেছেন । ১৯৫৪সালে তিনি আওয়ামী নেতৃতাধীন যুক্তফ্রন্ট প্রাথির পক্ষে নিজ এলাকায় ভুমিকা রাখেন । ১৯৫৫সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিতহন । এরপর কুখ্যাত আইয়ুব বিরুধী আন্দোলনে অংশ নেয়ায় তাকে ৯২কধারায় গ্রেপ্তার করে দেড় বৎসর জেলে আটকে রাখে । জেল থেকে বের হয়ে তিনি জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন ।   সিদ্দিকি  ও  হাতেম  আলি  তালুকদার , জেলার  আওয়ামিলীগ  নেতা  মাওলানা  আলতাব  আলীর  প্রকাশনায়  “এই দুভিক্ষে”  নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন, যার ফলে  ততকালীন  সামরিক  শাষক তাদের নামে হূলিয়া জারী করেন। ১৯৫৮সালে আইউব খান সামরিক শাসন জারি করলে প্রকাশ্য রাজনী তিনি নিষিদ্ধ হয়ে যায় । সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার মানষে সিদ্দিকি, আলি আসাদ এবং আরএম সাইদ ইস্টবেঙ্গল লিবারেশন পার্টি গঠন করেন । প্রকাশ্য রাজনীতি নিসিদ্ধ থাকায় তিনি বিড়ি শ্রমিকইউনিয়নের কার্যক্রমের আড়ালে ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশ্ন পার্টির কার্যক্রম চালাতে থাকেন । ১৯৫৯সালের শেসের দিকে তিনি আলি আসাদ ও আরএম সাইদকে সাথে নিয়ে ভারত সরকারের সহযোগিতার প্রত্যাশায় ভারত গমন করেন। তৎকালিন পশ্চিম বঙ্গ কংগ্রেস নেতা সুরেন ঘোষের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী শ্রীনে হেরুর সাথে দেখা করেন । তারা ভারত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি সম্বলিত লিফলেট ছাপিয়ে আনেন, ফেরার পথে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে  ভারতীয় পুলিশের  হাতে  গ্রেপ্তার  হয়ে এক মাস জেল খাটেন । দেশে ফিরে দেখেন তাদের সবার নামে হুলিয়া জারি হয়েছে । সিদ্দিকি ও আলি আসাদ ঢাকা চলে আসেন । লিফলেটবিভিন্নজেলাররাজনৈতিকনেতাওবারেরসম্পাদকদেরকাছেপ্রেরনকরেন।এবিষয়েবিস্তারিতআছে১৯৮৭সনের “সাপ্তাহিক বিচিত্রার ”বিজয় দিবস সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে । ১৯৬০সনের শুরুর দিকে পল্টন মাঠের পার্শে গোপন বৈঠক চলাকালে সিদ্দিকি গ্রেপ্তার হন । দীর্ঘ কাল জেলে কাটিয়ে ১৯৬৩সালের শেষের দিকে তিনি মুক্তি পান । এরপর দেশব্যাপী ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দলন শুরু হলে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন । আন্দলনের মধ্যে ১৯৬৬সনের ৮ইমে বঙ্গ বন্ধু গ্রেপ্তার হন, ৯ইমে গৌরীপুর থেকে সিদ্দিকি গ্রেপ্তার হন । ১১ইমে ময়মন সিংহ জেলা আওয়ামীলীগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গবন্ধু , আব্দুর রহমানসিদ্দিকিসহ আওয়ামিলীগের সব নেতা কমীর মুক্তি দাবি করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণাকরে । সারাদেশ ব্যাপীতিব্র আন্দলনের পর আইয়ুব সরকার  ১৯৬৯সালের ২২সেফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু , মনিসিং , সিদ্দিকিসহ ৩৪নেতার মুক্তি দানের প্রেসনো টজারি করেন । তারা মুক্তি পান । মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষ দসিদ্দিকিসহ ৩৪নেতাকে নাগরিক সম্বর্ধনা দেন । ১৯৭০ সালে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মত বিরোধ হলে তিনি দলত্যাগ করে ভাষানী ন্যাপে যোগদান করেন এবং ময়মন সিংহ জেলা ন্যাপের সাধারন সম্পাদক নিযুক্ত হন । ১৯৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ভারতের আম্পতি শরণার্থী শিবিরে বাংলাদেশেরমানুষকে অস্ত্র সহায়তা ও ট্রেনিং এর দাবিতে অনশন করেন । তিনি কলকাতা থেকে “সংগ্রামিবাংলা” নামে প্রত্রিকা পকাশ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালান । সিদ্দিকি পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশ কছিলেন । পত্রিকাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ তা সংরক্ষন করেছেন । স্বাধীনতার পরও তিনি মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করেছেন। ১৯৭৪এর ভয়াবহ দুভিক্ষের সময় লঙ্গর খানা খোলা ও খাদ্য দপ্তর ঘেরাও এর অপরাধে তিনি জামালপুর থেকে গ্রেপ্তার হন, এবং প্রায় একবছর তিন মাস জেলেকাটান । মেজর জিয়ার শাসনামলে ভাষানী ন্যাপ বিলুপ্ত করে প্রায় সবাই বিএনপিতে যোগদান করে,ন। কিন্তু সিদ্দিকি,  তার রাজনৈতিক আদর্শ বিসর্জন না দিয়ে হাজি দানেশ, রাশেদ খান মেননদের সাথে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল গঠন করেন । ১৯৭৯সনে তিনিআওয়ামীলীগ (মিজান) থেকে জামালপুর-৩ আসনে সংসদস্য নির্বাচনে অংশ নেন । ১৯৮০সনের দিকে সিদ্দিকি রাজনীতি থেকে বিদায় নেন । রাজনৈতিক জীবনে সিদ্দিকি প্রায় ১২বৎসর জেলে কাটান । ১৯৯৩সনের ১৬ইঅক্টোবর আজকের এইদিনে তিনি মৃত্যু বরন করেন । তাকে নিজ গ্রাম ছবিলাপুরে সমাহিত করা হয় । তার মৃত্যুর পর জামালপুর প্রেসক্লাব ও “ভাষানী স্মৃতি সংসদ” ঢাকাতে স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়।  তিনি বত্রিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে মাওলানা ভাষানী, শেখ মুজিবর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, রফিক উদ্দিন ভুইয়া প্রমুখ নেতার সান্নিধ্য পেয়েছেন। লেখক-আবদুর রহমান সিদ্দিকীর ছেলে।

 

 

Facebook Comments
৫ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি